Advertisement
E-Paper

বাড়ি ফিরতে তৈরি, বুদ্ধদেবকে বিছানা ছাড়িয়ে দাঁড় করানোর প্রক্রিয়া জারি

গত ২৯ জুলাই শ্বাসনালি এবং ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে আলিপুরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তার পর কেটে গিয়েছে ১১ দিন। এখন অনেকটা ভাল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ১২:৫৪
file image

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। — ফাইল ছবি।

এ সপ্তাহেই আলিপুরের হাসপাতাল থেকে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে ফিরবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতালের পাশাপাশি বুদ্ধদেবের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেও সেই উপলক্ষে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রক্রিয়া। হাসপাতালে ভর্তির ১১ দিন পরে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভাল। তিনি চিকিৎসক এবং তাঁকে দেখতে আসা ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথাও বলছেন। যদিও এখনও তাঁকে ইন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টেই রাখা হয়েছে।

Medical Bulletin of Buddhadeb Bhattacharjee

হাসপাতাল থেকে জারি করা বুদ্ধদেবের মেডিক্যাল বুলেটিন। — নিজস্ব চিত্র।

মঙ্গলবার আবার বৈঠকে বসবে বুদ্ধদেবের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানে বাড়ি ছাড়ার পর কী কী করতে হবে, মূলত তা নিয়ে আলোচনা সেরে নেবেন চিকিৎসকেরা। আলিপুরের হাসপাতালের তরফ থেকে আপাতত পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। ডাক্তারি পরিভাষায় ‘হোম কেয়ার’। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিচর্চা এবং দেখভালের জন্য যাঁরা যাবেন, তাঁদেরও আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারই পাম অ্যাভিনিউ গিয়ে ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখে আসার পরিকল্পনা রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সংক্রমণ কাটিয়ে সেরে উঠলেও নতুন করে আবার সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বুদ্ধদেবের। সে জন্য তাঁর বাড়িকে ‘স্যানিটাইজ়’ করার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বাড়িতে যে বাইপ্যাপ যন্ত্র বুদ্ধদেব ব্যবহার করতেন, তা আলিপুরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালেও বিরতি দিয়ে দিয়ে সেই যন্ত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে।

হাসপাতাল থেকে দেওয়া প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেব ভাল আছেন। তিনি কথা বলছেন। রাইলস টিউব লাগানো থাকলেও বুদ্ধদেবকে তরল খাবার মুখের সাহায্যেই খাওয়ানো শুরু করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আগামিদিনে শক্ত এবং অর্ধশক্ত খাবারও মুখ দিয়ে খাওয়ানো তাঁদের উদ্দেশ্য। কিন্তু তাতে প্রধান বাধা, বিষম খাওয়ার সম্ভাবনা। যাতে মুখ দিয়ে খাবার খেতে গিয়ে বিষম না খান, সে জন্য ‘সোয়ালো অ্যাসেসমেন্ট’ জারি রয়েছে। এর মাধ্যমে খাবার গলাধঃকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পেশির স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখা হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেবকে বিছানা থেকে পা ঝুলিয়ে বসানো এবং বিছানা ধরে দাঁড় করানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

গুরুতর সংক্রমণ কাটিয়ে উঠেছেন ৭৯ বছরের বুদ্ধদেব। কিন্তু সংক্রমণ সারাতে যে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল, তা যথেষ্টই ধকলের। সেই ধকল তিনি এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামিদিনে সেই ধকল কাটিয়ে উঠলে তিনি আরও সুস্থ হবেন। কিন্তু সে জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতেই হবে। যদিও তত দিন হাসপাতালে তাঁকে আটকে রাখা হবে না বলেই জানা গিয়েছে। সম্ভবত, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন বুদ্ধদেব।

Buddhadeb Bhattacharjee Health Update Buddhadeb Bhattacharjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy