Advertisement
E-Paper

বাড়িতে ডেকে ‘মারধর’, জখম চার যুবক

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লিলুয়ার বর্মা কলোনির রাস্তার পাশে চলে একটি মদ ও জুয়ার ঠেক। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ঠেক থেকে নিয়মিত মহিলাদের কটূক্তি ও অশ্লীল গালিগালাজ করা হত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৫১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কয়েক জন তরুণীকে কটূক্তি করার অভিযোগে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধল। শুক্রবার রাতে, লিলুয়ার বর্মা কলোনিতে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের চার জন আহত হন। এর মধ্যে তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‌্যাফ নামানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লিলুয়ার বর্মা কলোনির রাস্তার পাশে চলে একটি মদ ও জুয়ার ঠেক। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ঠেক থেকে নিয়মিত মহিলাদের কটূক্তি ও অশ্লীল গালিগালাজ করা হত। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ভট্টনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যার বাড়ির সামনেই ওই আসর বসতো। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখান থেকেই কয়েক জন যুবক পাশের ঘুঘুপাড়ার কিছু তরুণীকে অশ্লীল ইঙ্গিত করে বলে অভিযোগ। এর পরেই ঘুঘুপাড়ার লোকজন ওই জুয়ার ঠেক থেকে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ক্লাবে আটকে রাখেন। অভিযোগ, ওই যুবককে মারধর করা হয়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই যুবককে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভট্টনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা, তৃণমূলের মানসী শিকদার ও তাঁর স্বামী নন্দু শিকদার ঘুঘুপাড়ার লোকজনকে তাঁদের বাড়িতে ডেকে পাঠান। যদিও ঘুঘুপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে মীমাংসার নামে ওই

পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর নেতৃত্বে তাঁদের হকি স্টিক, লোহার রড, ক্রিকেট ব্যাট ও উইকেট দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করা হয়। তাতে গুরুতর আহত হন ঘুঘুপাড়ার বাসিন্দা দেবানন্দ ঘুঘু, সমীর ঘুঘু ও প্রবীর ঘুঘু। অভিযোগ, দেবানন্দবাবুর মাথায় হকিস্টিক দিয়ে সজোরে আঘাত করায় তাঁর মাথা ফেটে যায়। কান দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘুঘুপাড়ার বাসিন্দা তরুলতা ঘুঘু বলেন, ‘‘ওরা আমাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করল। মদের ঠেক বসত নন্দু শিকদারের নেতৃত্বেই।’’

যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনিকা দে। তিনি বলেন, ‘‘নন্দুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। মদ-জুয়ার ঠেক কোনও জায়গাতেই ছিল না। এটা দু’পাড়ার পুরনো গোলমাল। নন্দুকেও মারধর করা হয়েছে। যা হয়েছে পুলিশের সামনেই হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’ নন্দু শিকদার শনিবার বলেন, ‘‘ঘুঘুপাড়া ও চকপাড়া থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে একদল যুবক। আমার মাথায় রড দিয়ে মারা হয়। হেলমেট থাকায় বেঁচে যাই।’’

পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Injury Brawl Commentary Liluah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy