বিনামূল্যের ওয়াইফাইয়ের সুযোগ নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এখন বিদ্যুতের বিল দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের টাকা লেনদেন অহরহ ঘটছে। ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সুযোগে যাতে হ্যাকারের দল কোনও তথ্য চুরি করতে না পারে তার জন্য মোবাইল ব্যবহারকারীদের সতর্ক করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওয়াইফাই এখন ন্যূনতম চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ করতে বাজারে নেটওয়ার্ক পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলি কম খরচে ওয়াইফাই পরিষেবা দিচ্ছে। টেলিকম মন্ত্রকের সমীক্ষা (২০১৬) অনুযায়ী, প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ভারতে ৮০ জন মোবাইল ব্যবহার করছেন। তার মধ্যে ৬০ জন গ্রাহকের মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা বেশিরভাগটাই এখন চালানো হচ্ছে ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে। ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধের সংখ্যা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা। কী ভাবে সাইবার অপরাধ ঠেকানো যায় তার জন্য গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার পূর্ব কলকাতায় ই এম বাইপাসের একটি পাঁচতারা হোটেলে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত ওই সভায় তথ্যপ্রযুক্তিকর্তা, ব্যাঙ্ক আধিকারিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
পুলিশের আধিকারিকেরা।
এ দিনের আলোচনাসভায় পুলিশের তরফে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। বিশেষত ফ্রি ওয়াইফাই জোনে আর্থিক লেনদেন করা উচিত নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। হ্যাকাররা ফ্রি ওয়াইফাই-তে নির্দিষ্ট একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে অন্য মোবাইল গ্রাহকদের তথ্য চুরি করে নিতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। পরিচিত ছাড়া কেউ যাতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ছবি-সহ অন্য তথ্য দেখতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে মোবাইলের গ্রাহককে। এ ছাড়া ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটে পরিচিত ছাড়া কেউ যাতে কোনও তথ্য দেখতে না পারে তার জন্য নেট ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একই ভাবে অনলাইনে কেনাকাটা, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘ই-কমার্স সাইট’ গুলির দেওয়া তথ্য ভাল ভাবে যাচাই করে তবে আর্থিক লেনদেনের পরমার্শ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা। ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন সাইবার সিকিউরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রধান গুলশন রায়।