Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
New Town

প্রবাসী ভারতীয়ের নির্দেশেই কি সাহায্য দুই দুষ্কৃতীকে

জেরায় দুই দুষ্কৃতীর ঘনিষ্ঠ ভরত কুমারের থেকে অস্ট্রেলিয়া নিবাসী এক ভারতীয়ের কথা জানা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২১ ০৭:০৯
Share: Save:

কলকাতায় নিহত দুই পঞ্জাবি দুষ্কৃতীর সঙ্গে পাক যোগের অভিযোগ আগেই উঠেছে। এ বার জেরায় দুই দুষ্কৃতীর ঘনিষ্ঠ ভরত কুমারের থেকে অস্ট্রেলিয়া নিবাসী এক ভারতীয়ের কথা জানা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। তদন্তকারীদের সূত্রের খবর, প্রবাসী ওই ভারতীয়ের কাছ থেকেই জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীত খারারকে সাহায্যের নির্দেশ মিলত বলে ভরত দাবি করেছেন। তবে গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই ব্যক্তির নাগাল পাওয়া গেলে বা আরও নির্দিষ্ট তথ্য মিললে এই চক্র সম্পর্কে আরও বহু অজানা তথ্য সামনে আসতে পারে। প্রবাসী ওই ব্যক্তির সঙ্গে জয়পালদের আর্থিক লেনদেন ছিল বলেও পুলিশের সন্দেহ।

এই চক্রে ভরতের স্ত্রীকেও খুঁজছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ভরতের গ্রেফতারের পরেই তাঁর স্ত্রী ফেরার হয়ে গিয়েছেন। তিনিও এই চক্রে যুক্ত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ। তদন্তকারীদের দাবি, ভরতের সঙ্গে একাধিক বার কলকাতায় এসেছেন তাঁর স্ত্রী। উপরন্তু, দুই দুষ্কৃতীকে ভরত গাড়িতে করে কলকাতায় নিয়ে আসার সময়েও তিনি বিমানে চেপে শহরে আসেন। পরে সেই গাড়িতেই পঞ্জাবে ফেরেন। সেই কারণে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে। সূত্রের দাবি, ভরতের শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন চারু মার্কেটে। তাঁদের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছে। তবে মেয়ে-জামাইয়ের ব্যাপারে তাঁরা বিশদে কিছু জানাতে পারেননি।

গত ৯ মে নিউ টাউনের একটি আবাসনে এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় পঞ্জাবের দুই দাগি দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত খারার। ময়না-তদন্তের পরে দু’জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জয়পালের পরিবার পঞ্জাবে ফিরে অভিযোগ করে, তাদের ছেলেকে অন্যায় ভাবে গুলি করে মারা হয়েছে। দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্তের জন্য পঞ্জাবের আদালতেও আর্জি জানান জয়পালের পরিজনেরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই আর্জি খারিজ করেছে আদালত।

পুলিশের দাবি, ভরত ও তাঁর স্ত্রী নিউ টাউন ও সল্টলেকের একাধিক হোটেলে উঠতেন। কেন বার বার ভরত কলকাতায় আসতেন, কেন তিনি এখান থেকে গাড়ি কিনেছিলেন ইত্যাদি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুই দুষ্কৃতীর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে সিম জোগাড় করেছিলেন তিনি। সেই সব জায়গায় পুলিশ খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছে বলে সূত্রের দাবি। নিউ টাউনের যে হোটেলে দুই দুষ্কৃতী প্রথমে উঠেছিল, সেখানেও খোঁজ করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, পঞ্জাব পুলিশের এক কনস্টেবলের পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারা হোটেলে থেকেছিল। প্রসঙ্গত, ভরত ও সুমিতকে জেরা করতে বিধাননগর পুলিশের একটি দল পঞ্জাব গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দলটি কলকাতায় ফিরেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

New Town Gangster
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE