Advertisement
E-Paper

ভোট দেওয়ায় বাড়ি ঢুকে ‘ভাঙচুর’

অভিযোগকারিণীর স্বামী জানান, এ দিন দুপুর একটা নাগাদ প্রায় পঞ্চাশ জন যুবক তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। একই সঙ্গে চলতে থাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০১:৫৩
হামলা: ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়িতে ঢোকার দরজা। বৃহস্পতিবার, যাদবপুরে। নিজস্ব চিত্র

হামলা: ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়িতে ঢোকার দরজা। বৃহস্পতিবার, যাদবপুরে। নিজস্ব চিত্র

নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল একদল যুবকের বিরুদ্ধে। ভোটের প্রাথমিক ফলাফল সামনে আসতেই ফের সেই যুবকদের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে যাদবপুর থানা এলাকার পশ্চিম রাজাপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকদের মারধরে ওই বাড়ির বাসিন্দা এক মহিলা জখম হয়েছেন। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির মূল দরজা।

অভিযোগকারিণীর স্বামী জানান, এ দিন দুপুর একটা নাগাদ প্রায় পঞ্চাশ জন যুবক তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। একই সঙ্গে চলতে থাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ। অভিযোগ, যুবকেরা বন্ধ দরজাটিও ভেঙে দেন। তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে রডের আঘাতে জখম হয়েছেন ওই মহিলা। পরে যাদবপুর থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন। যুবকেরা রবিবার ভোট দিতে যাওয়ার পথে অভিযোগকারিণীর স্বামীকে বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও তিনি ভোট দিতে যান। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই দম্পতির দাবি, এ দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও ফোনে লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন যুবকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ভোট গণনার দিন অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় পুলিশকর্মীরা। লালবাজার সূত্রের খবর, আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর মতো সেখানে পরিস্থিতি সেখানে হয়নি। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও ক্ষেত্রেই শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যায়, সেই জন্য নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কলকাতা পুলিশের অধীন ন’টি ডিভিশনের প্রতিটিতে এক কোম্পানি এবং রিজার্ভে এক কোম্পানি রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রতি থানায় সেই বাহিনী ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, প্রতি থানায় ১২-১৬ জন করে জওয়ান মোতায়েন থাকার কথা। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার সময়ে ওই বাহিনীর বড় অংশ গণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় মোতায়েন ছিল।

এ ছাড়াও লালবাজারের তরফে প্রতিটি থানার রাজনৈতিক দিক থেকে সংবেদনশীল এলাকা বেছে সেখানে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। রবিবার রাতে ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পরেই মানিকতলা এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল একটি ক্লাবে। এমন রাজনৈতিক উত্তেজনা দমাতেই প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন কিংবা মোটরসাইকেলে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

Election Results 2019 Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ Jadavpur Vandalism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy