ট্যাংরার পরে সিঁথি। ফের শাসক দলের গোষ্ঠী-কোন্দলের অভিযোগ উঠল।
বুধবার রাতভর গোলমালে উত্তাল হয় কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিঁথির রাজাবাগান, সব্জিবাগান এলাকা। অভিযোগ, ২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুষ্পালি সিংহ ও শান্তনু সেনের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি, বোমাবাজি এমনকী গুলিও চলে। উভয় পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। সংঘর্ষে চার জন আহত হয়েছে বলে এক পক্ষের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা মোটরবাইক মিছিল বার করেছিলেন। অভিযোগ, মিছিল থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তথা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর তৃণমূলের শান্তনু সেনের কিছু অনুগামীকে মারধর করা হয়।
এর পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানায়, রাত দশটা নাগাদ দমদম স্টেশন রোড অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধেরা। তাঁদের অভিযোগ, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুষ্পালি সিংহের অনুগামীরা বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ছিল দর্শক।
পুলিশি হস্তক্ষেপে তখনকার মতো গোলমাল মিটলেও রাতে সব্জিবাগান এলাকায় ফের শুরু হয় বোমাবাজি। পুষ্পালিদেবীর অনুগামী বলে পরিচিত ৪ জন আহত হন। কয়েক জনকে শান্তনুবাবুর অনুগামীরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
এর পরে পুষ্পালি সিংহের অনুগামীরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই দু’পক্ষে গোলমাল শুরু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যান পুষ্পালিদেবী। সরাসরি সতীর্থ কাউন্সিলরকে দায়ী করে বলেন, ‘‘শান্তনু দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের ছেলেদের মারছে। বলেছে, ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না।’’ গোটা ঘটনা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যাকে জানানো হয়েছে বলে দাবি পুষ্পালিদেবীর।
অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। আমি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নতি নিয়ে যথেষ্ট ভাবি। আইন আইনের পথে চলবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, ২ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় শান্তনুবাবুকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করে তৃণমূল। অভিযোগ, তার পরেও পুরনো এলাকার রাশ ছাড়তে চাননি শান্তনুবাবু। ফলে তাঁর মদতে পুষ্পালিদেবীর অনুগামীদের হুমকি, ভয় দেখানো ও একাধিক বার মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও শান্তনু সেনের অনুগামীদের দাবি, এলাকায় তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা গোলমাল করার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
পুষ্পালিদেবীর অনুগামীদের আরও অভিযোগ, সিঁথি থানায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নামে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা অবশ্য জানান, দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy