Advertisement
E-Paper

পার্টি অফিস তৈরি ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

ফুটপাথ দখল করে খোদ শাসক দলের দলীয় ভবন। নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে সেটির। আর তা নিয়েই নতুন করে শাসক শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে সল্টলেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ০১:৪১

ফুটপাথ দখল করে খোদ শাসক দলের দলীয় ভবন। নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে সেটির। আর তা নিয়েই নতুন করে শাসক শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে সল্টলেকে।

ঘটনাস্থল: সল্টলেকের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের করুণাময়ী এলাকা। সেখানে রাস্তার ধারে তৃণমূলের অস্থায়ী একটি অফিস ছিল। কিন্তু অভিযোগ, বুধবার থেকে সেখানে ইটের গাঁথনি তোলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে অবশ্য বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপেই আপাতত সেই নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এই ঘটনায় শাসক শিবিরের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মেয়র সব্যসাচী দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ কাজ বন্ধ করেছে।’’ মেয়র বলেন, ‘‘পুরসভা এই নির্মাণের অনুমোদন দেয়নি। এই নির্মাণ নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছিল। তাই পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’

দিলীপবাবুর দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে ওই দলের শ্রমিক সংগঠনের একটি অফিস রয়েছে। সেটির বেহাল দশা। তাই তিন ইঞ্চি গাঁথনি দিয়ে কিছুটা পাকা করা হচ্ছিল। দিলীপবাবুর দাবি, সার্ভিস রোডের ধারে ওই ফুটপাথ পথচারীরা ব্যবহার করেন না। যদিও পুরসভা সূত্রের খবর, ওই নির্মাণের জন্য কোনও অনুমতি পুরসভার তরফে দেওয়া হয়নি।

কিছু দিন আগে ওই ওয়ার্ডেই বাসিন্দাদের প্রতিবাদের জেরে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের ধারে দখলদারদের হটাতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রের খবর, শাসক দলের ওই অস্থায়ী অফিসটি করুণাময়ী মোড়ের কাছে, পাঁচ নম্বর সেক্টরমুখী রাস্তার ধারে। অফিসটি স্থায়ী করতে নির্মাণকাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে বিধাননগর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।

স্থানীয় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব। অনিয়ম হলে আইনে যা আছে, সে অনুসারেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু দলীয় অফিস নয়, ফুটপাথ দখল করে নিয়েছেন হকারেরাও। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন। খোদ শাসক দলই যদি এমন কাজ করে, তবে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার কাজ হবে কী ভাবে?

তৃণমূলের একাংশের অবশ্য দাবি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে হকার উচ্ছেদ হবে না। এটাই দলের নীতি। ফলে দলীয় অফিসই হোক বা হকার, ফুটপাথ দখলমুক্ত করা নিয়ে বাসিন্দাদের দাবি কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

মেয়র অবশ্য বলেন, ‘‘এ বিষয়ে রাজ্য সরকার যা নির্দেশ দেবে, সেটাই করা হবে।’’

TMC Political Party Group conflict Party Office
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy