Advertisement
E-Paper

শহরের বন্দিদের কাজ পাড়ি দিল মুম্বই

এ বার বন্দিদের তৈরি পাটের জিনিসপত্র পৌঁছে গেল মুম্বইয়ের পেশাদার বিপণিতেও। সেখানে নামজাদা ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিক্রি হল কলকাতার দমদম জেলের বন্দিদের তৈরি জিনিস।

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:০৭

বন্দিদের তৈরি পোশাক ফ্যাশন দুনিয়ায় পৌঁছে গিয়েছিল আগেই। এ বার বন্দিদের তৈরি পাটের জিনিসপত্র পৌঁছে গেল মুম্বইয়ের পেশাদার বিপণিতেও। সেখানে নামজাদা ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিক্রি হল কলকাতার দমদম জেলের বন্দিদের তৈরি জিনিস।

মাস আটেক আগে দমদম জেলে শুরু হয়েছে পাট দিয়ে জিনিসপত্র তৈরির কাজ। প্রাথমিক ভাবে বন্দিদের এই কাজ শেখাতে এসেছিলেন ন্যাশনাল জুট বোর্ডের কয়েক জন প্রশিক্ষক। তাঁদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে উৎপাদন শুরু করেন বন্দিরা। কারা দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘শুধু উৎপাদন করলেই তো হল না, ওই সব জিনিস বিক্রি হওয়াও খুব জরুরি। না হলে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে এই উৎপাদনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।’’

সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কলকাতায় একটি প্রকাশনা সংস্থার বিপণিতে বন্দিদের তৈরি পাটের জিনিস বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, জেলের বিপণিতেও ওই সব জিনিস বিক্রি করা হচ্ছিল। এ বার বন্দিদের তৈরি সেই সব জিনিসপত্র পৌঁছে গেল মুম্বইয়ের পেশাদার বিপণিতে। কারা দফতরের ওই কর্তা বলেন, ‘‘সাধারণত ওই সব জায়গায় নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক বিক্রি হয়। সে সবের পাশেই এখন জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার বন্দিদের হাতের কাজ।’’

দমদম জেল সূত্রের খবর, বর্তমানে দমদম জেলে পাটের জিনিসপত্র তৈরি করেন ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। তাঁদের সঙ্গে উৎপাদনের কাজে যুক্ত আরও ১০ জন বন্দি। দমদম জেলে পাট দিয়ে মূলত টেবিল ম্যাট, কুশন কভার এবং নানা ধরনের ব্যাগ তৈরি করেন বন্দিরা। বন্দিদের তৈরি জিনিস বিক্রির অনুষ্ঠান উদ্বোধনে মুম্বইয়ের ওই বিপণিতে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র কারা দফতরের কর্তা এবং আর্থার রোড জেলের সুপার হর্ষদ আহিরাও। বন্দিদের তৈরি জিনিস দেখে তিনি বলেন, ‘‘বন্দিদের তৈরি পাটের জিনিসপত্র দেখে আমি মুগ্ধ।’’

কয়েক মাস আগেই ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক দত্তের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁর ফ্যাশন শোয়ের পোশাক তৈরি করেছেন প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দিরা। ওই পোশাক পরে ইতিমধ্যেই র‌্যাম্পে হেঁটেছেন টলিউড এবং বলিউডের তারকারাও। এ বার বন্দিদের তৈরি জিনিস মুম্বইয়ে পৌঁছনো নিয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে চৈতালী দাস বলেন, ‘‘বন্দিদের তৈরি জিনিস ঠিক ভাবে বিপণন না হলে উৎপাদন সফল হয় না। আমরা তাই ওই জিনিসপত্র বিপণনের চেষ্টা করছি।’’

Prisoners Handicrafts Jute Mumbai
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy