লোকাল ট্রেন চালু হলেও তাতে উঠতে পারবেন না হকারেরা। এমনকি, প্ল্যাটফর্মেও আপাতত ঠাঁই হচ্ছে না তাঁদের। কাল, বুধবার, পরিষেবা চালুর আগে সোমবার বিভিন্ন স্টেশনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে এ কথাই জানিয়েছেন শিয়ালদহের ডিআরএম শিলেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ। ভিড় ঠেকাতে নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও দূরত্ব-বিধির বিষয়টি যাত্রীদের শুভ বুদ্ধির উপরেই ছাড়তে চান তিনি। ডিআরএম জানান, প্রয়োজনে যাত্রী-সংখ্যার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই সিদ্ধান্তে হকারেরা অবশ্য প্রবল হতাশ।
এ দিন ডিআরএম জানান, ট্রেনে আপাতত হকারদের উঠতে দেওয়া হবে না। এমনকি, প্ল্যাটফর্মের দোকানও খুলতে দেওয়া হবে না। দূরত্ব-বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনও দোকান বাধা হয়ে দাঁড়ালে তা সরাতেও বলতে পারেন রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হকারেরা। আজ, মঙ্গলবার, হাওড়া স্টেশনের বাইরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে জমায়েতের ডাক দিয়েছে এপিডিআর। রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দেবে তারা। বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন হকারেরাও। তাঁদের প্রশ্ন, “লোকাল ট্রেনে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। সেখানে হকারেরাই কেবল বিপজ্জনক? একটি ট্রেনে ছ’শোর বেশি যাত্রী উঠলে তাঁদের নামিয়ে দেওয়া হবে তো?” এ প্রশ্নের জবাব যদিও মেলেনি এ দিন।