প্রতীকী ছবি।
রাজারহাট এলাকায় রাত হলেই এক সময়ে দেখা মিলত পেঁচার। কিন্তু নগরায়ণের জেরে উধাও হচ্ছে পেঁচারা। এমন পরিস্থিতিতে ওদের বাঁচাতে উদ্যোগী হচ্ছে হিডকো। সূত্রের খবর, এলাকার গাছগুলিতে পেঁচার বাসা তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
রবিবার আন্তর্জাতিক পেঁচা সচেতনতা দিবসে নিউ টাউনের পেঁচার মোড়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল হিডকো। সেখানেই বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় পেঁচার উপকারী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন রাজ্য জ়ু অথরিটির সদস্য সচিব বিনোদকুমার যাদব। তিনি জানান, পেঁচা কৃষকের বন্ধু। ইঁদুর এবং ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে সে। রাজারহাটের গ্রামীণ এলাকা এবং নিউ টাউন লাগোয়া পূর্ব কলকাতা জলাভূমিতে এখনও পেঁচা রয়েছে। নিউ টাউনে দুই প্রজাতির দেখা যায়।
পরিবেশকর্মীদের অনেকেই বলছেন, নিউ টাউন এলাকায় পুরনো গাছ কাটা পড়েছে। নতুন গাছ লাগানো হলেও তাতে পেঁচার বাসা হচ্ছে না। ওই এলাকায় পেঁচার সংখ্যা কমে যাওয়া এর একটি কারণ। এ বার তাই গাছে পেঁচার বাসা তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করবে। হিডকো তাদের সাহায্য করবে। দেবাশিসবাবু জানান, ইকো পার্কের ভিতরেও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে উদ্যোগী তাঁরা। যে কারণে প্রজাপতি উদ্যান করা হয়েছে। সেখানকার জলাশয়ে পরিযায়ী পাখিরা আসছে।
নিচু এবং জলা জায়গা বুজিয়ে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম ‘ইকো পার্ক’। কিন্তু সেই পার্কে এখন ৫৭ রকমের পাখি রয়েছে। ওই পার্কের জীববৈচিত্র সমীক্ষা করে এই তথ্য পেয়েছে রাজ্য জীববৈচিত্র পর্ষদ। রবিবার সেই রিপোর্ট হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনের হাতে তুলে দেন পর্ষদের চেয়ারম্যান অশোককান্তি সান্যাল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫৭ রকমের পাখির পাশাপাশি সরীসৃপ এবং উভচরও রয়েছে। সব মিলিয়ে ১০৯ রকমের মেরুদণ্ডী প্রাণী রয়েছে সেখানে। ১২৭ রকমের অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে কীটপতঙ্গ বেশি। ৯৯ রকমের গাছও রয়েছে ইকো পার্কে। অশোককান্তিবাবুর আশ্বাস, ‘‘ভবিষ্যতে ইকো পার্কের জীববৈচিত্র আরও বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy