পাঁচ বছরের একটি শিশুকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের তদন্ত নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ওই শিশুটিকে গণধর্ষণ করার পরে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে তার দিদিমার অভিযোগ। তাঁর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবা নিরুদ্দেশ। দিদিমাই কোনও মতে ভিক্ষা করে শিশুটিকে মানুষ করছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর নিজের ঘরের সামনে খেলতে খেলতে আচমকাই শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন তার দেহ উদ্ধার হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর দত্তপুকুর থানায় গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তার দিদিমা।
আইনজীবী জানান, শিশুটির দেহের ময়না-তদন্ত করে চিকিৎসক জানান, তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। চিকিৎসক এ-ও জানান, শিশুটির দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। পুলিশ এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ রাহুলকে গ্রেফতার করে। সে পরে জামিন পেয়ে যায়। অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পেয়েই সে প্রভাব খাটিয়ে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে শুরু করে। যার জেরে রাহুলের জামিন খারিজের আবেদন করা হয় বারাসত জেলা আদালতে। ওই আদালত তার জামিন খারিজ করে দেয়।