Advertisement
E-Paper

শিশুকে গণধর্ষণে রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ওই শিশুটিকে গণধর্ষণ করার পরে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে তার দিদিমার অভিযো

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১৯
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র

পাঁচ বছরের একটি শিশুকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের তদন্ত নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।

গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ওই শিশুটিকে গণধর্ষণ করার পরে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে তার দিদিমার অভিযোগ। তাঁর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবা নিরুদ্দেশ। দিদিমাই কোনও মতে ভিক্ষা করে শিশুটিকে মানুষ করছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর নিজের ঘরের সামনে খেলতে খেলতে আচমকাই শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন তার দেহ উদ্ধার হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর দত্তপুকুর থানায় গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তার দিদিমা।

আইনজীবী জানান, শিশুটির দেহের ময়না-তদন্ত করে চিকিৎসক জানান, তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। চিকিৎসক এ-ও জানান, শিশুটির দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। পুলিশ এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ রাহুলকে গ্রেফতার করে। সে পরে জামিন পেয়ে যায়। অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পেয়েই সে প্রভাব খাটিয়ে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে শুরু করে। যার জেরে রাহুলের জামিন খারিজের আবেদন করা হয় বারাসত জেলা আদালতে। ওই আদালত তার জামিন খারিজ করে দেয়।

অভিযোগকারিণীর আইনজীবী জানান, শিশুটির দিদিমার দাবি, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার গণধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়ে দেন, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে হাইকোর্টে মামলা করে দিদিমা জানান, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনও সম্পত্তি নেই। শিশুটির মা সরকারি হোমে। বাবা নিরুদ্দেশ। শিশুটিকে যে গণধর্ষণ করা হয়েছে, তা গোপন করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা করা হয়নি।

এ দিন মামলার শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি ঝুমা চক্রবর্তী আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করে জানান, ধীরে ধীরে তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। দিদিমার আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণবাবু জানান, রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা ঠিক ভাবে তদন্ত করতে পারবে না। কী কারণে খুন, তা-ই জানাতে পারেননি তদন্তকারীরা।

দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করে বিচারপতি জানিয়ে দেন, মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি।

Affidavit High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy