চার্ণক হাসপাতাল।ফাইল চিত্র।
এখনও ভেন্টিলেশনে রয়েছেন কানয়াপাক প্রোনমাচোত।
তাইল্যান্ডের বাসিন্দা ৪১ বছরের এই মহিলা গত শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লি থেকে স্পাইসজেটের উড়ানে ব্যাঙ্কক যাচ্ছিলেন। মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বেগতিক দেখে তাঁকে নিয়ে শুক্রবার রাত সওয়া বারোটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে স্পাইসজেটের বিমান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সেই বিমান কলকাতার মাটি ছোঁয়ার আগেই জ্ঞান হারান ওই যুবতী।
সেই থেকে কানয়াপাক কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে চার্ণক হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, শারীরিক ভাবে কানয়াপাক একটু ভাল রয়েছেন। তবে, এখনও তিনি অচৈতন্য।
যে ভারতীয় বন্ধুর সঙ্গে তিনি দিল্লি থেকে ব্যাঙ্কক যাচ্ছিলেন, সেই পুরুষ বন্ধু নিয়মিত চার্ণক হাসপাতালে এসে খবর নিচ্ছেন কানয়াপাকের। এই যুবতীর ছেলে ব্যাঙ্ককে থাকেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে ই-মেল মারফত যোগাযোগ করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কানয়াপাকের কোনও ধরনের চিকিৎসা, পরীক্ষার জন্য ছেলের কাছ থেকে ই-মেল মারফত অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। তবে, এই যুবতীর চিকিৎসার খরচ কে দেবে নিয়ে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ছেলে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চিকিৎসার খরচ দিতে পারবেন না। কানয়াপাক নিজে অচৈতন্য। তাঁর কাছে কত টাকা আছে তা-ও জানা নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
এই প্রথম নয়, এর আগে বিভিন্ন সময়ে মাঝ আকাশে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়া বিভিন্ন দেশের লোককে নিয়ে কলকাতায় নেমে এসেছেন বিমান। মূলত চার্ণক, নাগেরবাজারের আইএলএস, মেডিকাতে ভর্তি করানো হয়েছে সেই সব বিদেশিদের। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই বিদেশিদের চিকিৎসার খরচ সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস মিটিয়ে দিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত কানয়াপাকের জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে তাই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, এখনও একটি টাকাও তারা পাননি। এমনকি, কানয়াপাকের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীর খবর দূতাবাস বহন করবে এমন লিখিত কোনও
আশ্বাসও চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ হাসপাতালের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy