এক গৃহবধুর মৃত্যু ঘিরে শনিবার সকালে উত্তপ্ত হল তিলজলা এলাকা। রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠি চালায়। আটক করা হয় ২৫ জনকে।
পুলিশ জানায়, গোলমালের সূত্রপাত শুক্রবার। তিলজলা রোডের বাসিন্দা নাজিয়া ফাইজাকে (২১) ওই দিন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই মৃতার মা শামিম বানু অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তিনি তিলজলা থানায় নাজিয়ার স্বামী ও শ্বশুরবা়ড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শামিম বানুর অভিযোগ, শুক্রবার তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলে জামাই আব্দুল। পরে দেহটি হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই আব্দুল ফোন করে শমিম বানুকে জানান, নাজিয়া আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সুইসাইড নোটের কথা জানতে চাইলে ফোন রেখে দেন তিনি।
শনিবার তিলজলা রোডের বাসিন্দারা চার নম্বর ব্রিজের কাছে পার্ক সার্কাস কানেক্টর অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশকে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে এবং নাজিয়ার দু’বছরের ছেলে ও ছ’মাসের শিশুকন্যাকে শামিমের কাছে ফেরাতে দিতে হবে। চল্লিশ মিনিটের অবরোধে যানজট হয়।
নাজিয়ার পিসি আয়েশা খাতুনের অভিযোগ, চার বছর বিয়ে হয়েছিল নাজিয়ার। তার পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার করত আব্দুল। পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত। ইতিমধ্যে নাজিয়া তাঁর স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও বলেন। তাতে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। আগে তিনবার তাঁরা পুলিশের কাছে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে বারবার বিবাদ মেটানোর পরামর্শ দেয় পুলিশ। অত্যাচারের মাত্রা বা়ড়তে থাকে। যার পরিণতি শুক্রবারের ঘটনা।
এক পুলিশ কর্তা জানান, শুক্রবার আব্দুলকে গ্রেফতার করা হয়। নাজিয়ার শ্বশুরবাড়ির অন্যদের খোঁজ চলছে। নাজিয়ার পরিবার জানিয়েছে, শনিবার পুলিশ তাঁদের সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy