Advertisement
E-Paper

পুরকর্তারাই ধূমপায়ী, শহরবাসীকে থামাবে কে

কিন্তু তা কতটা সম্ভব? যেখানে মেয়র-সহ একাধিক মেয়র পারিষদকে মাসিক অধিবেশনের সময়ে পুরসভার করিডরেই ধূমপান করতে দেখেন অনেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কলকাতাকে ধূমপানমুক্ত শহর করতে হবে! এমনই আহ্বান পুরকর্তাদের। অথচ, নিয়ম ভাঙার দলে সেই কর্তাদেরই থাকার অভিযোগ রয়েছে। সুতরাং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় ধূমপান বিরোধী এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্তারা। তবে ছিলেন না মেয়র। প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়ে পুরসভার সচিব হরিহরপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘কলকাতাকে ধূমপানমুক্ত শহর করতে চাই আমরা।’’

কিন্তু তা কতটা সম্ভব? যেখানে মেয়র-সহ একাধিক মেয়র পারিষদকে মাসিক অধিবেশনের সময়ে পুরসভার করিডরেই ধূমপান করতে দেখেন অনেকে। অথচ করিডরে ঝোলানো ‘নো-স্মোকিং’ নোটিস। অনেকের কথায়, শহর তো অনেক দূর, আগে পুরসভাকে ধূমপানমুক্ত করা হোক।

এ কথা মানছেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। তাঁর জবাব, ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও।’ আলোচনায় এমন প্রস্তাবও ওঠে যে, পুরসভার প্রতি দফতরে ও বরো অফিসে এক জন করে নোডাল অফিসার রাখা হোক। যাঁদের কাজ হবে প্রকাশ্যে ধূমপান ঠেকানো। কিন্তু সভার শেষে বাইরে এসে একাধিক পুর অফিসারের বক্তব্য, পুরবোর্ডের কর্তারা ধূমপান করলে তা রোখার সাধ্য কার?

যদিও দেবাশিস কুমার বলেছেন, নিজের ঘরে কেউ ধূমপান করতে পারেন। তবে প্রকাশ্যে করা যাবে না। একই সঙ্গে তিনি জানান, পুরসভার স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ধূমপান নিষিদ্ধ করতে সেগুলির আশপাশ থেকে বিড়ি-সিগারেটের দোকান সরাতে চেষ্টা করবে পুর প্রশাসন। তবে জোর করে কিছু করার পক্ষপাতী যে পুরসভা নয়, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।

ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো এক সংস্থার দাবি, সিকিম ধূমপান মুক্ত হয়েছে। রাজস্থান, কেরল এবং গোয়া ধূমপান নিষিদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছে। তবে কেন পিছিয়ে এ শহর?

smoking Kolkata কলকাতা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy