জাপানি প্রযুক্তিতে হাওড়া শহরকে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেই অনুযায়ী পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার হাওড়া পুরনিগমে এলেন জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ইয়োকোহামার তিন প্রতিনিধি দল। রাজ্য প্রশাসন ও হাওড়া পুরনিগমের কর্তাদের সঙ্গে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। আজ, মঙ্গলবার নবান্ন ও মহাকরণে রাজ্য প্রশাসন ও হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে বৈঠক করবেন জাপানি প্রতিনিধিরা।
জাপানি দলটির প্রধান তথা ইয়োকোহামা শহরের উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজার হিরোকি মিয়াজিমা বলেন, ‘‘হাওড়ায় রাস্তা, পানীয় জল এবং শিল্পাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কী পরিকাঠামো রয়েছে, তা দেখছি। সব দেখে, পরে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ জাপানি দলটির সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব বিজয় জগন্নাথন। এ দিন দুপুরে প্রথমে নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্রের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন। এর পরেই হাওড়া পুরনিগমে এসে রাজ্যের পুর-দফতরের সচিব গোপালিকা, হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী, পুর-কমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং হাওড়ার চার মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র, বিভাস হাজরা, গৌতম চৌধুরী ও বাণী সিংহরায়ের সঙ্গে জাপানি দলটি চলে আসে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর গঙ্গার ঘাটে। সেখান থেকে লঞ্চে তাঁরা যান বেলুড় মঠে।
রথীনবাবু জানান, জল পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং গঙ্গাপাড় সৌন্দার্যায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেলুড়ে মঠে ১০ হাজার মানুষের এক সঙ্গে খাওয়ার জন্য যে ডাইনিং হল তৈরি হচ্ছে, তা-ও ঘুরে দেখেন তাঁরা। রথীনবাবু বলেন, ‘‘ডাইনিং হল তৈরির জন্য পুরনিগমের তরফে ১ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’’ বেলুড়ে বিদেশি প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান জাপান রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী মেধসানন্দ, স্বামী শুভকরানন্দ, স্বামী গুরুদাসানন্দ-সহ কাউন্সিলর চৈতালী বিশ্বাস, প্রবীর রায়চৌধুরী ও রেয়াজ আহমেদ। বালি থেকে হাওড়া পর্যন্ত মনোরেল চালানো নিয়ে আলোচনা হয়।