গোয়েন্কা কলেজ।—ছবি সংগৃহীত।
৩১ অগস্ট রাতে হয়েছিল বৌবাজার-বিপর্যয়। পরদিন থেকে খুলে গিয়েছিল গোয়েন্কা কলেজের গেট। তার পরে কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। আজও সেই গেট খোলা পুলিশ ও মেট্রো রেলের জন্য। কলেজের পরীক্ষা নিয়ামকের ঘর এবং সিক রুমের একটি এখন পুলিশের কন্ট্রোল রুম, অন্যটি মেট্রো রেলের আধিকারিকদের অফিস। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিতকুমার রায় বলেন, ‘‘যদি হও সুজন, তেঁতুল পাতায় ন’জন। এক দিকে কলেজ চলছে। সেইকলেজেই বসেছে পুলিশের কন্ট্রোল রুম।’’ সুজিতবাবু মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে আরও ঘর বরাদ্দ হবে।
তিনি জানান, বৌবাজার বিপর্যয়ের কারণে কলেজে একটি দল তৈরি হয়েছে। যেখানে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে শিক্ষক সকলে রয়েছেন। বাংলার শিক্ষক গোরাচাঁদ মণ্ডল বলেন, ‘‘কলেজের কাছেই বাড়ি হওয়ায় যে কোনও দরকারে আসতে পারি। পানীয় জল, বসার বন্দোবস্ত সবই করছি আমরা।’’ সুজিতবাবু বলেন, ‘‘কলেজের পরীক্ষা নিয়ামকের ঘরে ভর্তি সংক্রান্ত কাজ হয়। সেই কাজ আমার ঘরেই হচ্ছে। কনফারেন্স রুমও খুলে দেওয়া হয়েছে।’’ এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, ‘‘সেকরাপাড়া লেন ও দুর্গা পিতুরি লেনের এত কাছে এই কলেজ থাকায় কাজের সুবিধে হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রথম দিন থেকেই পাশে রয়েছেন।’’
বিপদগ্রস্ত মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন কলেজের ছাত্রেরাও। বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম বর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy