E-Paper

নবম-দশমে স্কুল বদলালে পড়ুয়া-তথ্য জানাতে হবে পর্ষদকে

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, কোনও পড়ুয়া নবম বা দশমে নতুন স্কুলে এলেও তার রেজিস্ট্রেশনের তথ্য সেই স্কুলে থাকে না। ওই পড়ুয়া আগে যেখানে পড়ত, সেখানে, অর্থাৎ পুরনো স্কুলে ওই তথ্য থেকে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৭

—প্রতীকী চিত্র।

নবম বা দশম শ্রেণির কোনও পড়ুয়া তার নিজের স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হলে সেই স্কুলকে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার ভর্তি হওয়ার আবেদনপত্র পাঠাতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। এই আবেদনপত্র পাঠানোর সময়সীমা ধার্য হয়েছে আগামী বছরের ৩০ জুন। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কারণ হিসাবে তারা জানিয়েছে, নবম বা দশমে কোনও পড়ুয়ার নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার তথ্য পর্ষদের কাছে না থাকলে দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের সময়ে ওই পড়ুয়ার বিবিধ সমস্যা হচ্ছে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, কোনও পড়ুয়া নবম বা দশমে নতুন স্কুলে এলেও তার রেজিস্ট্রেশনের তথ্য সেই স্কুলে থাকে না। ওই পড়ুয়া আগে যেখানে পড়ত, সেখানে, অর্থাৎ পুরনো স্কুলে ওই তথ্য থেকে যায়। নতুন স্কুলে রেজিস্ট্রেশনের তথ্য না থাকায় ওই পড়ুয়া সেখানে যে ভর্তি হয়েছে, তা জানতে পারে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। তারা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড পাঠিয়ে দেয় পুরনো স্কুলেই। কিন্তু, সেই অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছয় না পড়ুয়ার হাতে। এই সমস্যার সমাধানেই এ বার থেকে স্কুলগুলিকে পর্ষদে জানাতে হবে, তাদের স্কুলে নবম বা দশমে কত জন নতুন পড়ুয়া ভর্তি হল।

এর পাশাপাশি, পর্ষদ আরও জানিয়েছে, নবম বা দশমে কোনও স্কুল ১০ জনের বেশি নতুন পড়ুয়া ভর্তি নিতে পারবে না। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, এই ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে না দিলে অনেক সময়ে কিছু কিছু স্কুলে নবম-দশমে ভর্তির চাপ বেড়ে যায়। যদিও ‘বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’র এক নেতা বলেন, ‘‘যে সব স্কুল পড়ুয়া-সঙ্কটে ভুগছে, অথচ সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন, সেই সব স্কুলে নবম-দশমে বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলে তো আখেরে স্কুলেরই লাভ। এই নিয়ম করে কি পড়ুয়া কম থাকা স্কুলগুলিকে আরও দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে?’’

পর্ষদ আরও জানিয়েছে, যে সব পড়ুয়ার তিন বছরের বেশি পড়াশোনায় ছেদ পড়েছে, তারা নতুন করে নবম বা দশমে ভর্তি হতে চাইলে কেন পড়ায় ছেদ পড়েছিল, তার যথাযথ কারণ দেখিয়ে স্কুল থেকে পাশ করার প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Education system West Bengal Board Of Secondary Education

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy