ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে যে কোনও ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা রুখতে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশন ছাড়াও রেলের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো রয়েছে, এমন সব জায়গায় নিরাপত্তা নিয়ে তৎপরতা বাড়াল রেল। যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য রেলরক্ষী বাহিনীকে ‘হাই অ্যালার্ট’-এ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন জনবহুল রেল স্টেশনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নজরদারি বাড়াতে গোয়েন্দা-তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও রেল পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে রেল। শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত স্টেশনের ক্ষেত্রে বুকিং কাউন্টার, মালখানা, যাত্রীদের ওয়েটিং রুম ছাড়াও শৌচালয়গুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ব্যস্ত পথ, সাবওয়ে-সহ বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন জায়গা, জ্বালানি মজুত করে রাখার জায়গাগুলি বিশেষ ভাবে সুরক্ষিত করা ছাড়াও কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। ডিজ়েল ইঞ্জিনে জ্বালানি ভরার কাজ করা হয়, এমন শেডে নজরদারির কড়াকড়ি এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। রেললাইন, লেভেল ক্রসিং, বিভিন্ন সিগন্যাল পয়েন্ট এলাকায় নাশকতা ঠেকাতে সেখানে আরপিএফ ছাড়াও আরপিএসএফ বা বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।
এ ছাড়াও দূরপাল্লার এবং শহরতলির বিভিন্ন ট্রেনে পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ার আগে ওই তল্লাশি করা হচ্ছে।
স্টেশনে ঢোকার পথে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মালপত্র স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, যাত্রীদের তল্লাশির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে মেটাল ডিটেক্টর। শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার রাজীব সাক্সেনা বলেন, ‘‘যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বদা অগ্রগণ্য। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সে জন্য যাত্রীদের সহযোগিতা চাইছি। তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আরপিএফ-কে সর্বদা তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)