Advertisement
E-Paper

খুনি পরিচিতই, সন্দেহ পুলিশের

গিরিশ পার্কের বারাণসী ঘোষ স্ট্রিটের বাসিন্দা প্রতিমা মাইতির খুনের পিছনে পরিচিত কেউ রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। গোয়েন্দাদের দাবি, আততায়ী পরিচিত হওয়ায় ঘটনার দিন বিনা বাধায় প্রতিমার ঘরে ঢুকতে পেরেছিল। প্রতিমার ছোট ছেলে সুদীপেরও দাবি, খুনিরা তাঁর মায়ের পরিচিত। মঙ্গলবার পুলিশ মর্গের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, তাঁদের সন্দেহের তালিকায় অনেকেই রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৫ ০৪:০৭

গিরিশ পার্কের বারাণসী ঘোষ স্ট্রিটের বাসিন্দা প্রতিমা মাইতির খুনের পিছনে পরিচিত কেউ রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। গোয়েন্দাদের দাবি, আততায়ী পরিচিত হওয়ায় ঘটনার দিন বিনা বাধায় প্রতিমার ঘরে ঢুকতে পেরেছিল। প্রতিমার ছোট ছেলে সুদীপেরও দাবি, খুনিরা তাঁর মায়ের পরিচিত। মঙ্গলবার পুলিশ মর্গের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, তাঁদের সন্দেহের তালিকায় অনেকেই রয়েছেন। গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘প্রতিমার ফোনের কল-লিস্ট যাচাই করা হচ্ছে। আমরা পরিবারের সদস্যদেরও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছি না।’’
ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে গোয়েন্দারা জানান, প্রতিমার মাথার পিছনে প্রথমে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়। এর পরেই তাঁর হাত-পা বাঁধা হয়। লালবাজার সূত্রে খবর, ময়না-তদন্তের চিকিৎসকেরা প্রাথমিক ভাবে জানান, ওই মহিলার যৌনাঙ্গ-সহ দেহের কোথাও বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে গোয়েন্দারা জানান, খুনের আগে ওই মহিলা যৌন সংসর্গ করে থাকলেও স্বেচ্ছায় করেছেন। গোয়েন্দাদের দাবি, দেহে এমন পচন ধরেছিল যে কেমিক্যাল ও ফরেন্সিক পরীক্ষা না করে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়, মহিলার দেহে বাইরে থেকে আঘাত ছিল কি না। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে পাকস্থলীতে খাবার মিলেছে।

সোমবার গিরিশ পার্ক থানার সিংহিবাগানের বারাণসী ঘোষ স্ট্রিটে একটি বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় প্রতিমা মাইতির হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ। মঙ্গলবার গুজরাত থেকে কলকাতায় আসেন প্রতিমার ছোট ছেলে সুদীপ। এ দিন রাতে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসার কথা প্রতিমার স্বামী দিলীপ ও বড় ছেলের। কলকাতায় দিলীপের গয়না তৈরির কারখানা আছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া প্রতিমার মোবাইল পরীক্ষা করে পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই মোবাইল থেকে সুদীপের সঙ্গে প্রতিমার শেষ বার কথা হয়। মঙ্গলবার পুলিশ দিলীপের কারখানার কর্মচারী গৌতম মণ্ডলের সঙ্গেও কথা বলে। ফোনে সাড়া না পেয়ে দিলীপ গৌতমকেই প্রতিমার খোঁজে পাঠান। দিলীপের কলকাতার ব্যবসাও দেখতেন গৌতম।

Girish park Investigation murder case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy