E-Paper

চেনা ছক ভেঙে স্কুলের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ দাদু-দিদিমাদেরও 

প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের রামমোহন মিশন হাইস্কুলে সোম ও মঙ্গল, দু’দিন ধরে ‘অ্যানুয়াল ডে’ পালিত হল পড়ুয়াদের দাদু-দিদিমাদের সঙ্গে নিয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২৩
দু’দিন ধরে ‘অ্যানুয়াল ডে’ পালিত হল পড়ুয়াদের দাদু-দিদিমাদের সঙ্গে নিয়ে।

দু’দিন ধরে ‘অ্যানুয়াল ডে’ পালিত হল পড়ুয়াদের দাদু-দিদিমাদের সঙ্গে নিয়ে। —প্রতীকী চিত্র।

দাদু-দিদিমার ছবি আঁকতে বলায় কোনও পড়ুয়া এঁকেছে, দিদিমার চুল বেঁধে দিচ্ছে সে। কেউ আবার এঁকেছে, দিদিমা তাকে মোয়া বানিয়ে দিচ্ছেন। কেউ আবার দিদিমা বলতে এঁকেছে মাদার টেরিজার মুখ।

প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের রামমোহন মিশন হাইস্কুলে সোম ও মঙ্গল, দু’দিন ধরে ‘অ্যানুয়াল ডে’ পালিত হল পড়ুয়াদের দাদু-দিদিমাদের সঙ্গে নিয়ে। স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘অ্যানুয়াল ডে-তে সাধারণত পড়ুয়াদের সঙ্গে তাদের মা-বাবারা আসেন। দাদু-দিদিমারা ইচ্ছে থাকলেও স্কুলের অনুমতি না থাকায় আসতে পারেন না। আমরা পড়ুয়াদের এ বার বলেছিলাম, অ্যানুয়াল ডে-তে স্কুলে মা-বাবার সঙ্গে দাদু-দিদিমাকেও আনা যাবে। শুধু তাদের স্কুলে নিয়ে আসাই নয়, দাদু-দিদিমাকে পড়ুয়ারা কী‌ ভাবে দেখে, তা নিয়ে ছবি আঁকতেও বলেছিলাম। গান গাইতে বা কবিতা আবৃত্তি করতেও বলা হয়।’’

সেই মতো সোম ও মঙ্গলবার, দু’দিনই ‘অ্যানুয়াল ডে’র অনুষ্ঠানে তাঁদের নাতি-নাতনিদের হাত ধরে দাদু-দিদিমারা হাজির হয়েছিলেন স্কুলে। অনুষ্ঠানের পরে তাঁরা জানান, নাতি বা নাতনির স্কুল কেমন, তা জানতেন না। শুধু গল্পই শুনেছিলেন। এ দিন তাঁদের খুব ভাল লেগেছে। নাতি-নাতনিদের বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এমনকি, তাঁদের সমবয়স্ক কয়েক জনের সঙ্গে বন্ধুত্বও হয়েছে। সুজয় বলেন, ‘‘এ বার যা সাড়া পেলাম, তাতে আগামী বারও চেষ্টা করব, অ্যানুয়াল ডে-তে পড়ুয়াদের দাদু, দিদিমাদের আমন্ত্রণ জানাতে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Programme Students

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy