Advertisement
E-Paper

পানীয় জলের জোগান অপ্রতুল বাইপাস এলাকায়

পানীয় জলের পাইপ রয়েছে এলাকায়, কিন্তু জল সরবরাহ প্রায় নেই। এমনই হাল ইএম বাইপাসের ধারে বেশ কিছু এলাকায়। গরমের সময় তো জল সঙ্কট ছিলই, এখন বর্ষার সময়েও পানীয় জলের জোগান কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৮ ০১:৫৪
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

পানীয় জলের পাইপ রয়েছে এলাকায়, কিন্তু জল সরবরাহ প্রায় নেই। এমনই হাল ইএম বাইপাসের ধারে বেশ কিছু এলাকায়। গরমের সময় তো জল সঙ্কট ছিলই, এখন বর্ষার সময়েও পানীয় জলের জোগান কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ফলে প্রধানত গভীর নলকূপের জল দিয়েই চাহিদা মেটাতে হচ্ছে তাঁদের।

পলতা, গার্ডেনরিচের পর কলকাতা পুরসভার তৃতীয় বড় জলপ্রকল্প হল জয়হিন্দ জল প্রকল্প। বাইপাসের ধারে ধাপায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ওই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দৈনিক ৩০ মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন ওই প্রকল্পের মিষ্টি জল বাইপাসের দু’ধারের ওয়ার্ডগুলির চাহিদা মেটাবে। উঠিয়ে দেওয়া হবে গভীর নলকূপের সাহায্যে পানীয় জল দেওয়ার ব্যবস্থা।

তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। কিন্তু এখনও প্রস্তাবিত এলাকায় ধাপার মিষ্টি জল পৌঁছয়নি। বাইপাসের ধারে বিবেকানন্দ পার্ক, ভগত সিংহ কলোনি, নিউ গড়িয়া সমবায়, পূর্বদিগন্ত, যমুনানগর, গঙ্গানগর, শতাব্দী পার্ক-সহ আরও কিছু এলাকায় পাইপ বসানো হলেও মিষ্টি জল পৌঁছচ্ছে না। ফলে এখনও ভরসা সেই গভীর নলকূপই। জলের এই সমস্যা নিয়ে মাস খানেক আগে পুর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দ্রুত কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও সমস্যা রয়ে গিয়েছে।

মিষ্টি জল জোগানের সমস্যা স্বীকার করে নিয়েছেন ১০৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘প্রায়ই স্থানীয়দের পক্ষ থেকে পানীয় জলের অভাব নিয়ে চিঠি আসছে। কোথাও জল আসছে না, কোথাও খুব কম জল পড়ছে। পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। শীঘ্রই সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।’’

কিন্তু কেন এই হাল? পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক পদস্থ অফিসারের কথায়, ‘‘আগে গভীর নলকূপে ওঠা জলের জোগান বেশি ছিল। এখন মিষ্টি জলের ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ মেলে না। তাই হয়তো সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, কয়েকটি এলাকায় কাজ এখনও চলছে। শীঘ্রই জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে মিষ্টি জলের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়েও বাসিন্দাদের সতর্ক হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

EM Bypass Water Supply Arup Biswas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy