Advertisement
E-Paper

যাদবপুরে বিক্ষোভে এ বার শিক্ষকেরা

ছাত্র-অসন্তোষ তো লেগেই আছে। পদোন্নতি (ক্যাস), শিক্ষকদের পুনর্নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দাবিতে এ বার আন্দোলনের পথ ধরছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-ও। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের চূড়ান্ত অভাব তৈরি হওয়ায় বর্তমান শিক্ষকদের উপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে এবং পঠনপাঠনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ জুটার। কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি, ২৯ এপ্রিল অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ করবে জুটা। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, ক্যাস-এর প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৪

ছাত্র-অসন্তোষ তো লেগেই আছে। পদোন্নতি (ক্যাস), শিক্ষকদের পুনর্নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দাবিতে এ বার আন্দোলনের পথ ধরছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-ও। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের চূড়ান্ত অভাব তৈরি হওয়ায় বর্তমান শিক্ষকদের উপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে এবং পঠনপাঠনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ জুটার।

কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি, ২৯ এপ্রিল অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ করবে জুটা। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, ক্যাস-এর প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। তবে পুনর্নিয়োগের কাজে একটু বেশি সময় লাগছে বলে স্বীকার করছেন কেউ কেউ।

মঙ্গলবার ছিল জুটার সাধারণ সভার বৈঠক। পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্ত বলেন, ‘‘২০০৬ থেকে পদোন্নতি আটকে আছে।’’ জুটা সূত্রে খবর, ৮৯৪টি শিক্ষক পদের মধ্যে ২২৯টি এখন খালি। শিক্ষক নিয়োগও তাই জুটার অন্যতম দাবি। এ সপ্তাহের শেষেই দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশিসস্বরূপ বর্মার অবশ্য দাবি, গত সপ্তাহেই ক্যাস-এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জুটা তা জানে না।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, শিক্ষকদের জানানো পদোন্নতির আবেদন বিবেচনা করা হবে। উপাচার্যের মনোনীত সদস্যের নাম পেতে দেরি হওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে।

জুটার অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে এ নিয়ে বারবার কথা হয়েছে। তবু কাজ এগোয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথে তারা। কিন্তু এমনিতেই ‘হোক কলরব’-এর জেরে মাস চারেক পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পরেও কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত কেন? জুটার সভাপতি কেশব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মে-র গোড়া থেকে সেমেস্টার পরীক্ষা শুরু হবে, তাই ক্লাস এখন কম। যে ক্লাসগুলি বাদ যাবে, পরে অবশ্যই তা নেওয়া হবে।’’

শিক্ষকের অভাবে পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে গত সপ্তাহেই বেশ রাত পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য-সহ কর্তাদের ঘেরাও করেন একদল ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ ছিল, শিক্ষকের অভাবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের প্রক্রিয়া, গবেষণাগারের কাজকর্মও ধাক্কা খাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ওঠে ঘেরাও।

jadavpur juta jadavpur professor jadavpur professor protest movement juta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy