Advertisement
০৫ মে ২০২৪
যাদবপুরের ওয়েবসাইট

রাতে সরানো পর্নোগ্রাফির লিঙ্ক ফিরল সকালে

সকালে সরিয়ে দেওয়া লিঙ্ক ফিরে এল রাতে। তড়িঘড়ি তা-ও সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েবসাইট হ্যাক করে বারবার পর্নোগ্রাফির লিঙ্ক যুক্ত করে দেওয়ার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। পুলিশের কাছে নালিশ জানানোর পরেও কী করে ফের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৪
Share: Save:

সকালে সরিয়ে দেওয়া লিঙ্ক ফিরে এল রাতে। তড়িঘড়ি তা-ও সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েবসাইট হ্যাক করে বারবার পর্নোগ্রাফির লিঙ্ক যুক্ত করে দেওয়ার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। পুলিশের কাছে নালিশ জানানোর পরেও কী করে ফের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

সামনেই নতুন শিক্ষাবর্ষ। ভর্তির মরসুম শুরু হওয়ার মুখে। এখন ওয়েবসাইটের ‘অ্যাডমিশন’ বোতামেই সবচেয়ে বেশি হাত পড়ার কথা। আর সেই বোতামটাকেই বেছে নিয়েছে হ্যাকারেরা। সোমবার ‘অ্যাডমিশন’ বোতামে ক্লিক করলেই বেরোচ্ছিল পর্নোগ্রাফির লিঙ্ক। সকালে এই ঘটনার পরে তড়িঘড়ি লিঙ্কটি সরিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়।

সূত্রের খবর, ওই দিন রাতে ফের পর্নোগ্রাফির লিঙ্ক মেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। তখনও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।

গত বছর সেপ্টেম্বরেও যাদবপুরের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল। সোমবারের অভিযোগের পরে ওই দিন সন্ধ্যায় সাইবার ক্রাইমের তদন্তকারী চার অফিসার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। পরে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, আগের বার হ্যাকিংয়ের পরে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়েবসাইটের বেশ কিছু খামতির কথা জানানো হয়েছিল। সেই সব দুর্বলতা সারিয়ে তুলতে না পারলে যে ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা থেকেই যাবে, তা-ও জানানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়কে। কিন্তু এখনও সেই ত্রুটিগুলি থেকেই গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। যার জেরে সহজেই ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারছে হ্যাকারেরা। কর্তৃপক্ষকে সে কথা জানানোও হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ সোমবারও জানিয়েছিলেন, ওয়েবসাইটের দুর্বলতাগুলি মেরামতের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবারও তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। কী করে সমস্যা সমাধান করা যায়, আমরা তা দেখছি।’’ যদিও আগের বারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনও কেন ওয়েবসাইটের দুর্বলতাগুলি কাটিয়ে ওঠা যায়নি, সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE