নিজস্ব চিত্র।
রীতি অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয় ২৪ ডিসেম্বর। গত দু’বছর অতিমারির জেরে অনুষ্ঠান হয়নি। এ বার আগে থেকে রাজ্যপাল লা গণেশনের সম্মতি নিয়ে সমাবর্তনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যেই নতুন স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে সি ভি আনন্দ বোসের নাম ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু তিনি সমাবর্তন নিয়ে যদি কিছু পরিবর্তন করতে চান, তা হলে হাতে সময় একেবারেই নেই বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর।
আগে স্থির হয়েছিল, বার্ষিক সমাবর্তন হলেও সাম্মানিক ডিলিট ও ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান, অর্থাৎ বিশেষ সমাবর্তন হবে না। সমাবর্তনে ৪৫ মিনিট থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন লা গণেশন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নতুন রাজ্যপাল দায়িত্ব নিলেই সমাবর্তনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানাবেন। তবে তিনি কোনও মতামত দিলে সে ভাবে এগোনোর সময় নেই বলেই খবর।
নিয়ম অনুযায়ী, একই দিনে প্রথমে বিশেষ সমাবর্তনে সাম্মানিক ডিলিট ও ডিএসসি ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর পরে বার্ষিক সমাবর্তনে পড়ুয়াদের হাতে ডিগ্রি তুলে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রবল বিতর্কের মধ্যে বিশেষ সমাবর্তন হয়নি। সে বছর ডিলিট, ডিএসসি প্রাপকদের একাংশকে নিয়ে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আপত্তি এবং তা ধোপে না টেকার মতো ঘটনাও ঘটেছিল। এর পরে ডিলিট, ডিএসসি প্রাপকদের শংসাপত্রে সই করে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। সেই সময়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কের আবহে রাজ্যপাল সমাবর্তনে এলেও বিক্ষোভের জেরে ভিতরে ঢুকতে পারেননি। সূত্রের খবর, ওই সময়ে তিনি ওই শংসাপত্রগুলি আবার চেয়ে নেন। সেগুলি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরেনি বলেই খবর।
এই পরিস্থিতিতে এ বারও বিশেষ সমাবর্তন না করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের মতে, আগের রাজ্যপাল সম্মতি দিলে পরবর্তী রাজ্যপাল সেই দিকেই মত দেবেন বলে আশা করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy