যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ চত্বরে আবার উত্তেজনা। গন্ডগোলের জেরে বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ দিন দুপুর ৩টে থেকে ১৫ মার্চ, শনিবার পর্যন্ত যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ডে কলেজ বন্ধ থাকবে। আবার কলেজ খুলবে ১৭ মার্চ, সোমবার।
এ দিন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের পরিচালন সমিতির সভানেত্রী, তৃণমূল সাংসদ মালা রায় পরিচালন সমিতির বৈঠকের জন্য কলেজে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বহিরাগত-প্রবেশ নিয়ে অভিযোগ জানান পড়ুয়ারা। এর পরে কলেজ থেকে বেরিয়ে যান মালা। তার পরে আইন কলেজ এবং ডে কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয় রং খেলাকে ঘিরে। জোর করে রং দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। পডুয়াদের অভিযোগ, বহিরাগতেরা ফের কলেজের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই এই কলেজে সরস্বতী পুজো ঘিরে বহিরাগত-প্রবেশের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছিল। পুজোর দিন কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ দিন ডে কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় জানান, কলেজে বসন্ত উৎসবের কোনও পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল না। তার পরেও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বহু বহিরাগত ঢুকে রং খেলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে জানিয়েও কোনও রকম সহযোগিতা পাইনি।’’
অন্য দিকে, এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও পরীক্ষা চলাকালীন মাইক ও ডিজে বাজিয়ে টিএমসিপি রং খেলেছে বলে অভিযোগ তুলেছে এসএফআই। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘আমরা গতকালই জানিয়েছিলাম, পরীক্ষা থাকলে মাইক্রোফোন বাজানো যাবে না। আজ আবার খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে জানিয়েছি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)