Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Jadavpur University Student Death

যাদবপুর নিয়ে রাজভবনের বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হল না ইংরেজির বিভাগীয় প্রধান মনোজিৎ মণ্ডলকে

বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্যদের তলব করেছিলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিভাগীয় প্রধানেরা রাজভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইংরেজির বিভাগীয় প্রধান মনোজিৎ মণ্ডলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

JU English HoD Manojit Mondal was denied to enter meeting at Rajbhavan.

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের প্রধান মনোজিৎ মণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ২০:৫৯
Share: Save:

যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোর্ট সদস্যদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বুধবার বিকেলে ওই বৈঠকে যোগ দিতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা। ছিলেন সহ-উপাচার্যও। কিন্তু ওই বৈঠকে ইংরেজির বিভাগীয় প্রধান মনোজিৎ মণ্ডলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে মনোজিৎ অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূলপন্থী’ বলেই তাঁকে বাদ দিয়ে বৈঠক করেছেন আচার্য বোস।

বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিলেন আচার্য। সেই অনুযায়ী ৫টার পর থেকে রাজভবনে একে একে আসতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা। ওই প্রধানদের নিয়ে একটি সংগঠন রয়েছে, যার নাম কোর্ট। কোর্টের সমস্ত সদস্যই বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন। মনোজিৎ দাবি করেন, গাড়ি থেকে নামার সময়েই রাজভবনের এক নিরাপত্তারক্ষী জানতে চান, ‘‘মনোজিৎ মণ্ডল কে?’’ তিনি সাড়া দিলে তাঁকে জানানো হয়, আচার্য তাঁকে ‘বৈঠকে চাইছেন না’।

বাকিরা বৈঠকে যোগ দিলেও বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন মনোজিৎ। পরে তিনি ফিরে যান। মনোজিতের দাবি, ২০১৭ সালের সংশোধনী আইন অনুযায়ী আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল এই ধরনের কোনও বৈঠক ডাকতে পারেন না। তাঁর মতে ওই বৈঠক ‘অবৈধ’। মনোজিতের এই বক্তব্য আগে থেকে জানতে পেরেই আচার্য তাঁকে এড়িয়ে গিয়েছেন বলে দাবি ওই অধ্যাপকের।

মনোজিৎ এ-ও দাবি করেছেন যে, রাজভবন থেকে তাঁকে জানানো হয়, তিনি শাসকদলের প্রতিনিধি। তাই বৈঠকে তাঁকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তৃণমূলপন্থী’ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে মনোজিতের। তিনি বলেন, ‘‘কোর্টের সদস্য হিসাবে আমি ইংরেজি বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছিলাম। আমাকে এক পুলিশ অফিসার এসে ডেপুটি সেক্রেটারির ঘরে যেতে বললেন। সেখানে গেলে আমাকে জানানো হল, আচার্য আমাকে বৈঠকে যাওয়ার অনুমতি দেননি। অথচ, আমার কাছে বৈঠকের আমন্ত্রণপত্র ছিল। ৬টা ১৫ পর্যন্ত আমি বসেছিলাম। পরে বেরিয়ে এসেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আচার্য আমাকে ভয় পাচ্ছেন কেন? সেটা বুঝতে পারলাম না। আমাকে একাই কেন আটকানো হল? এর অর্থ, আমার সম্বন্ধে উনি আগে থেকেই খোঁজ নিয়েছিলেন। আমি ওঁকে একটাই প্রশ্ন করতে চাই, কার অনুমতিতে উনি এই বৈঠক ডেকেছেন? ২০১৭ সালের বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইনে বলা আছে, উপাচার্য না থাকলে রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে এমন বৈঠক ডাকা যায় না। বৈঠকটি সম্পূর্ণ অবৈধ। এই প্রশ্ন তুলব জানতে পেরেই আমাকে বৈঠকে যেতে দেওয়া হয়নি।’’ রাজ্য সরকার বা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসাবে রাজভবনে তিনি যাননি বলেও দাবি করেছেন মনোজিৎ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE