নিরাপত্তার অধিকার রক্ষায় মাস চারেক আগে এন আর এস থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই এন আর এসেই জনৈক জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে ফার্মাসিস্টকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে টানাপড়েন তৈরি হল বুধবার।
ফার্মাসিস্টদের অভিযোগ, বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ দিতে না-চাওয়ায় মঙ্গলবার অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারের রোষের মুখে পড়েন কর্তব্যরত ফার্মাসিস্ট। উল্টো দিকে, সেই অভিযোগের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ ‘ইনজুরি রিপোর্ট’ প্রকাশের দাবি তুলেছেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে এক মহিলা ইন্টার্নের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে জয়দেবেরই বিরুদ্ধে। জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, ওই ইন্টার্ন প্রথমে ওষুুধ আনতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে অভিযুক্ত পিজিটি ফার্মাসিতে আসেন। ফোনে প্রেসক্রিপশন দেখানো হলেও ওষুধ দেওয়া হয়নি। উল্টে তাঁদের ঘিরে ১০-১২ জন হুমকি দেয় ও হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।
ফেসবুকে পোস্টটি করেছিল তৃণমূল সমর্থিত ‘প্রোগ্রেসিভ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’। ওই সংগঠন তথা এন আর এসের রোগী-কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি। ফলে গোটা ঘটনার পিছনে রাজনীতির যোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকদের একাংশ।