Advertisement
E-Paper

কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বদলি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে মেঘালয় গেলেন বাঙালি বিচারপতি

সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের ছাত্র ইন্দ্রপ্রসন্ন ২০০৯ সালের ১৮ মে থেকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পদে রয়েছেন। ২০২৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অবসর নেবেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:০৯
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

কলকাতা হাই কোর্টের অন্যতম প্রবীণ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়কে মেঘালয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ইন্দ্রপ্রসন্ন ছাড়াও আরও তিন বিচারপতিকে বদলি করা হয়েছে। বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইতকে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট, জিএস সন্ধ্যাওয়ালিয়াকে হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট এবং তাশি রাবস্তানকে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের ছাত্র ইন্দ্রপ্রসন্ন ২০০৯ সালের ১৮ মে থেকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পদে রয়েছেন। ২০২৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অবসর নেবেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের অন্যতম বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন। এমনকি, প্রধান বিচারপতি-সহ হাইকোর্টের বিচারপতিদের সর্বভারতীয় তালিকায় বরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সপ্তম স্থানে রয়েছেন তিনি। ইন্দ্রপ্রসন্নকে বদলির পূর্বে বিচারপতি তাশি রাবস্তানকে মেঘালয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করেছিল কলেজিয়াম। গত জুলাই মাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।

২০২৩ সালে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিল সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দফতরের হলফনামা চেয়েছিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানি পর্বে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের (সংশোধন) বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলেও ওই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল বোস। পরে রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা জমা নেয়নি কলকাতা হাই কোর্ট। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পুজোর ছুটির পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়াও, গত বছরই একটি মামলায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। কৌস্তভকে তাঁর আচরণ নিয়ে সতর্ক করে দেন বিচারপতি। আচরণ ঠিক না করলে কোর্টে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে বলে সতর্কও করে দেন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়।

Calcutta High Court Supreme Court of India Meghalaya high Court CJI DY Chandrachud
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy