মৃত আরশিয়ানা পারভিন। নিজস্ব চিত্র।
কাগজপত্র হাতে আসেনি। স্রেফ সেই কারণে বেলঘরিয়ার বাসিন্দা, বারো বছরের বালিকার মৃত্যু ডেঙ্গিতে হয়েছে বলে নিশ্চিত ভাবে মানতে রাজি নন কামারহাটি পুরসভার কর্তারা। অথচ, এলাকা ডেঙ্গিমুক্ত করতে এ বার পুজোর উদ্যোক্তাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন খোদ পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহা।
পুরকর্তারা জানান, সব থেকে বেশি সমস্যা পুজোর শেষে। মণ্ডপ তৈরির থার্মোকল ও ঝুড়ি-সহ বিভিন্ন উপকরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে। তাতে জল জমে, আগাছার জঙ্গল তৈরি হয়। সেই সমস্যা দূর করতে পুজো কমিটিগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবর্জনা সাফ করা হয়। মাইকে প্রচারও চালাতে বলা হয়েছে তাঁদের।
পুরকর্তাদের দাবি, বুধবার টেক্সম্যাকো শ্রমিক কলোনির বাসিন্দা আরশিয়ানা পারভিনের যে ডেঙ্গিতেই মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে নথি তাঁরা পাননি। কিন্তু এ বার এলাকায় কারও ডেঙ্গি হয়নি বলেও দাবি করছেন না তাঁরা। পুরসভা সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এলাকায় প্রায় ২২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৭, ১৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আরশিয়ানা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) বিমল সাহা বলেন, ‘‘মেয়েটির ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার আগে নির্দিষ্ট করে কিছু বলাটা ঠিক নয়। আর এলাকায় যাঁদের ডেঙ্গি হয়েছিল, তাঁরাও অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’’ যদিও বিমলবাবুর দাবি, পুজোর সময়ে যাতে এলাকায় আর ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ে, তার জন্য পুজো কমিটিগুলিকেও ডেঙ্গি-যুদ্ধে শামিল করা হচ্ছে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি পুজোয় টাঙানোর জন্য পুরসভার তরফে ডেঙ্গি সচেতনতার ব্যানার দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, পুজোর চার দিন সন্ধ্যায় ভিড় মোকাবিলার পাশাপাশি প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর মাইকে ডেঙ্গি সচেতনতার বিষয়ে প্রচারও করতে হবে।
বেলঘরিয়ার একটি পুজোর সম্পাদক তথা চেয়ারম্যান পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘‘কামারহাটিকে ডেঙ্গিমুক্ত করতে ছোট পুজোগুলিকেও উদ্যোগী হতে হবে। ভাঙা মণ্ডপ সাফাইয়েও গুরুত্ব দিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy