Advertisement
E-Paper

দুই গোষ্ঠীর বিবাদে উত্তপ্ত কাঁকুড়গাছি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। রবি জয়সওয়াল নামে স্থানীয় এক যুবকের অভিযোগ, ‘‘রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জলের বোতল কিনতে আমি কাঁকুড়গাছি মোড়ের কাছে একটি দোকানে গিয়েছিলাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শাসক দলেরই দুই গোষ্ঠীর বিবাদে উত্তেজনা ছড়াল কাঁকুড়গাছিতে। সোমবার গভীর রাতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গন্ডগোলের ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা গুহের ছেলের বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। রবি জয়সওয়াল নামে স্থানীয় এক যুবকের অভিযোগ, ‘‘রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জলের বোতল কিনতে আমি কাঁকুড়গাছি মোড়ের কাছে একটি দোকানে গিয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কাউন্সিলর সুনন্দা গুহের ছেলে শৌভিক-সহ জনা চারেক যুবক মত্ত অবস্থায় এসে আমাকে হুমকি দিতে শুরু করে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘শৌভিক বলতে থাকে, সাধন পাণ্ডের অনুগামী কাউকে বরদাস্ত করা হবে না। এর পরে ওরা আমাকে ধাক্কা মারে।’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’পক্ষের বাগবিতণ্ডার পরে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফের এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রবির অভিযোগ, ‘‘ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই শৌভিক-সহ জনা বিশেক যুবক আমার বাড়িতে চড়াও হয়। তার পরে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। আমার পাশের বাড়ির বন্ধুদেরও মারধর করে।’’ ওই সময়ে দিলীপ সাউ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার বিকেলে ফুলবাগান থানায় শৌভিক-সহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দিলীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সাধন পাণ্ডের অনুগামী হওয়ার কারণে পরেশ পালের অনুগামীরা সোমবার রাতে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে। আমার ছেলে ও স্ত্রীকেও মারধর করে ওরা।’’

স্থানীয় সূত্রের খবর, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডটি মানিকতলা বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। সেখানে নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাত কার অধীনে থাকবে, তা নিয়ে উত্তর কলকাতার দুই বিধায়ক সাধন পাণ্ডে ও পরেশ পালের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এ দিনের ঘটনার জন্য পরেশ পালকেই দায়ী করছেন মানিকতলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তাঁর কথায়, ‘‘পরেশ পাল ও তাঁর অনুগামীদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’

সোমবার রাতের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে কাউন্সিলর সুনন্দা বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা আমার ছেলেকে মারধর করেছে। আমার ভাসুরের ছেলের গলার হার ছিনতাই করে পালিয়েছে। ওরাই পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে শৌভিক বলেন, ‘‘সোমবার রাতে কাঁকুড়গাছির পার্টি অফিসের পাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ জনা পাঁচেক যুবক একটি গাড়িতে চেপে এসে আমাদের হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, এখানে যাবতীয় কাজের বরাত পাবে সাধন পাণ্ডের অনুগামীরা। এর পরেই ওরা আমাদের মারধর করতে শুরু করে। ওরাই পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে।’’ সাধনবাবুর অভিযোগ প্রসঙ্গে বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা যে ঘটেছে, তা তো আমার জানা নেই।’’

Kankurgachi TMC clash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy