Advertisement
E-Paper

সন্ধি পুরসভা ও বন্দরের

সম্পত্তি কর নিয়ে বিবাদ মেটাতে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই চুক্তি অনুযায়ী, কলকাতা বন্দরের জমিতে লিজ বা ভাড়ায় বসে থাকা ২৮০০ ভাড়াটের কাছ থেকে সরাসরি পুরসভা সম্পত্তি কর আদায় করতে পারবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০১:২৭

সম্পত্তি কর নিয়ে বিবাদ মেটাতে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই চুক্তি অনুযায়ী, কলকাতা বন্দরের জমিতে লিজ বা ভাড়ায় বসে থাকা ২৮০০ ভাড়াটের কাছ থেকে সরাসরি পুরসভা সম্পত্তি কর আদায় করতে পারবে। যা এতদিন পারত না কলকাতা পুরসভা।

মঙ্গলবার বন্দরের সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বন্দরের চেয়ারম্যান এম টি কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘১৯৭০ সালে বন্দরের সঙ্গে পুরসভার পুরকর সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল। তা নতুন করে পর্যালোচনা করার সময় এসেছে। মেয়র এই প্রস্তাবে রাজি। আমরাও আলোচনা চালিয়ে যাবতীয় বিবাদ মেটানোর পক্ষে।’’

কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিবাদ বাড়িয়ে লাভ নেই। বন্দর যদি ওদের ভাড়াটেদের কাছ থেকে আমাদের কর আদায়ের ব্যবস্থা করে দেয়, আমরাও বন্দর এলাকায় রাস্তাঘাট, জল সরবরাহের ভার নেব।’’

বন্দরের খবর, ১৯৭০ সালে পুরসভা এবং বন্দরের কর আদায় সংক্রান্ত চুক্তি হয়। তাতে প্রতি ছ’বছর অন্তর এই করের হার নির্ধারণ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০০২ সালের পর আর তা নতুন করে নির্ধারণ হয়নি। বছরে পুরসভা এখন ৫ কোটি টাকা সম্পত্তি কর চায় বন্দরের কাছে। সেই টাকা মিটিয়েও দেয় বন্দর। কিন্তু সম্প্রতি ক্যাগের অডিটে বলা হয়েছে, পুরসভা বন্দর করের হার নির্দিষ্ট সময়ে পরিবর্তন না করায় পুরসভা ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। এর পরেই পুরসভার পক্ষ থেকে সেই টাকা চেয়ে বন্দরকে চাপ দেওয়া শুরু হয়। বন্দরও পাল্টা জমির ভাড়া, গঙ্গার জল তোলার খরচ ইত্যাদি বাবদ মোটা টাকা দাবি করে।

শেষ পর্যন্ত সম্পত্তি কর আদায়ের পদ্ধতি বদলাতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে বন্দর। তাতে বলা হয়েছে, বন্দরের জমিতে যে সব ভাড়াটে আছে, পুরসভা সরাসরি তাদের থেকে কর আদায় করুক। জানা গিয়েছে, বন্দর এলাকায় ৭৬০ জনের হাতে বড় মাপের জমি লিজ দেওয়া আছে। আর ২৮০০ ভাড়াটে বন্দরের জমিতে বসে রয়েছে। বন্দর এখন এদের থেকে সম্পত্তি কর আদার করে। তার পর পুরসভাকে জমা দেয়। নতুন ব্যবস্থায় পুরসভা সরাসরি কর আদায় করবে। পরিবর্তে ওই এলাকায় নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্বও পুরসভা নেবে।

বন্দর কর্তারা জানাচ্ছেন, বন্দর এলাকায় বেশ কিছু রাস্তা সারাইয়ের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরসভা যদি কর আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করে তা স্বাগত।

KMC Property tax port
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy