কালীঘাট মন্দির। ফাইল চিত্র
কালীঘাট মন্দিরের পুজোর ফুল পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন পুর কর্তৃপক্ষ।
মন্দির চত্বরের মধ্যেই কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ওই যন্ত্র বসানো হবে বলে জানান পুরকর্তারা। পুরসভার এই প্রকল্প কালীঘাট মন্দির সংস্কারের অন্যতম পদক্ষেপ। কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘মন্দির চত্বর পরিষ্কার রাখতেই এই ভাবনা। তা ছাড়া, এই ধরনের পরিত্যক্ত ফুল যদি সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সে ক্ষেত্রেও বিষয়টি পরিবেশবান্ধবও হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, কালীঘাটে প্রতিদিন পুজোর জন্য প্রচুর পরিমাণ ফুল লাগে। কিন্তু ব্যবহারের পরে সেই ফুলগুলি মন্দির চত্বরের বাইরেই রেখে দেওয়া হয়। অনেক সময়ে কিছু ফুল ফেলে দেওয়া হয় টালি নালায়। সব মিলিয়ে মন্দিরের আশপাশের এলাকা অনেক সময়েই অপরিষ্কার হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতি বদলানো প্রয়োজন বলেই মনে করেন পুর কর্তৃপক্ষ। তিনি জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গায় সার তৈরির যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। সেখানে ওই ব্যবহৃত ফুলগুলি থেকে সার তৈরি করা হবে। ওই সব ফুল সংগ্রহ করেই যন্ত্রে সার তৈরির জন্য ফেলা হবে। তার পরেই প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সার তৈরি করা হবে বলে পুরসভার আধিকারিকেরা জানান।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুর এলাকার ধাপায় জঞ্জাল থেকে সার তৈরি করার ব্যবস্থা রয়েছে। পুরসভার আধিকারিকেরা জানান, এই সার অনেকেই কিনে নিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে চান। পুরকর্তৃপক্ষ যদি জৈব জঞ্জাল থেকে আরও সার তৈরি করতে পারেন, তা হলে তার একটি নির্দিষ্ট বাজার থাকবে। এই ভাবে শহর থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করলে তা পরিবেশবান্ধবও হবে। এর মাধ্যমে ধাপায় জঞ্জাল ফেলার চাপও অনেকাংশে কমবে বলে মনে করেন পুর আধিকারিকেরা।
কালীঘাট এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী মজুমদার বলেন, ‘‘মন্দিরের ফুল পুনর্ব্যবহারের জন্য যন্ত্র বসানোর কথা হয়েছে। সামগ্রিক ভাবে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের সঙ্গে এই ধরনের যন্ত্র প্রতিস্থাপন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’’
পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। তাঁদের অনেকেরই মতে, বর্জ্য পদার্থ বর্জনীয় নয়। ঠিক ভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তার ব্যবহার হতেই পারে। তাতে মানুষের কাজে লাগে এমন পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্রও তৈরি হতে পারে।
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘কালীঘাট মন্দিরে ফুলের পুনর্ব্যবহারের জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শহরে জৈব এবং অজৈব বর্জ্য পৃথকীকরণের ব্যবস্থা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও উপকৃত হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy