বাগড়ি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পরেই পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, অগ্নি-সুরক্ষায় কোথায় ফাঁক রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে পুরসভার সব সম্পত্তির ‘অডিট’ করা হবে। —ফাইল চিত্র।
বাগড়ি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পরেই নিজেদের সব সম্পত্তির ক্ষেত্রে ‘ফায়ার অডিট’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু যে দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজ হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ। এমনকি, কবে সে কাজ সম্পূর্ণ হবে, তা-ও স্পষ্ট ভাবে বলতে পারছেন না পুর কর্তৃপক্ষ।
তবে পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে পুরসভার বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলিতে আপাতত অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সিরিটি ও কালীঘাট, এই দু’টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি সেগুলি নতুন করে ‘রিফিল’ করা হবে।
সে জন্য এক লক্ষ টাকার মতো বরাদ্দ করা হয়েছে। পদস্থ এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রয়োজন অনুযায়ী অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। বাকি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলিতেও সেই ব্যবস্থা ধীরে ধীরে হবে।’’
প্রসঙ্গত, বাগড়ি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পরেই পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, অগ্নি-সুরক্ষায় কোথায় ফাঁক রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে পুরসভার সব সম্পত্তির ‘অডিট’ করা হবে। তার মধ্যে পুরসভার অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, বাজার যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন, পাম্পিং স্টেশনের মতো জায়গাও।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হলেও এখনও অনেক জায়গা রয়েছে, সেগুলিতে কাজ করা হয়নি। ফলে অগ্নিকাণ্ডের পরে যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হওয়ার দরকার ছিল, তা হয়নি। তাই কবে কাজ সম্পূর্ণ হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, পুরসভার আলো দফতরের তত্ত্বাবধানে ‘ফায়ার অডিট’ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আলো দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ মনজর ইকবালকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy