Advertisement
০২ মে ২০২৪
Dengue situation in Kolkata

শহরে ডেঙ্গি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রের, নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ

বর্তমানে কলকাতা শহরের ৩,৭০০ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ডেঙ্গি মোকাবিলায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছেন বলেও জানান তিনি।

ডেঙ্গি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক পুরসভায়।

ডেঙ্গি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক পুরসভায়। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৫
Share: Save:

শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলার বুধবার বিকেলে পুরভবনে জরুরি বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং সাংসদ তথা তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা শান্তনু সেন হাজির ছিলেন ওই বৈঠকে।

বৈঠকের পরে অতীন বলেন, ‘‘কলকাতার পুরসভার অন্তর্গত ১৬টি বরোরই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের (হেল্‌থ অফিসার) নিয়ে বৈঠক হয়েছে। অন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরাও হাজির ছিলেন। মেয়র গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। পুরসভাকে টাকা খরচ করে খালি জায়গা, পুকুর সাফাই করতে হচ্ছে। অথচ আশপাশের অনেক লোকজন সেখানে আবার আবর্জনা ফেলছেন। মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন, শহরের প্রতিটি খালি জায়গা বা পুকুরের আশপাশের বাড়িকে জঞ্জাল না ফেলার জন্য নোটিস পাঠানো হবে। আবর্জনা ফেললে পুর আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’’

শহরের বিভিন্ন নির্মীয়মাণ বাড়িতে জমা জল এবং আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য মেয়র ডিজি বিল্ডিংকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান ডেপুটি মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করা না হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের শো-কজ করা হবে।’’ ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় খিদিরপুরে ‘ডেঙ্গি ফিভার ক্লিনিক’ চালু হয়েছে জানিয়ে অতীন বলেন, ‘‘সেখানে এখন ৪০টি বেড রয়েছে। তা বাড়িয়ে ১০০ করা হবে। এ ছাড়া মেয়ারের নির্দেশে ইসলামিয়া হাসপাতালকেও ডেঙ্গি ফিভার ক্লিনিক’ হিসাবে ব্যবহার করা হবে। সেখানে ২০০ বেড থাকবে।’’

অতীন জানান, শহরের হাসপাতালগুলি যাতে তাদের ফাঁকা বেডের সমস্ত তথ্য দিতে পারে, তার অনুমতি চাওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। এ ছাড়া একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হবে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আধিকারিকদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেও নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। অতীন বলেন, ‘‘ডেঙ্গি মোকাবিলার বিষয়ে যদি উচ্চ আদালতের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয় তা মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

এখন শহরের ৩,৭০০ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে জানান ডেপুটি মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গি সংক্রমিত রোগীর মৃত্যুর তিনটি কারণ থাকে। আমরা এই কারণগুলি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠাই। মৃত্যুর কারণ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়।’’ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে পুরসভার সঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরিসংখ্যানে তফাত প্রসঙ্গে সাফাই, ‘‘আমাদের তথ্য আমরা দিয়ে থাকি। কিন্তু যে হেতু আমাদের রিপোর্ট এক সপ্তাহ অন্তর বেরোয়। সেই কারণে তথ্য একটু কম থাকতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE