প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুরসভার তথ্য বলছে, শহরের জনসংখ্যার অন্তত আট শতাংশ বাসিন্দাই প্রবীণ। এ বার তাই তাঁদের আর দূরে ঠেলে রাখতে চাইছে না পুর প্রশাসন। ভোটের আগে তাঁদের মন জয় করতে উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তাঁদের বাড়তি সুযোগ সুবিধা দিতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।
কী ভাবে হবে সেই কাজ? স্থির হয়েছে, প্রবীণদের জন্য ১৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তা চূড়ান্ত করা হবে। সূত্রের খবর, আগামী বছর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। সম্ভবত সেটিকে পাখির চোখ করেই এমন ভাবনা। বর্তমান পুর বোর্ডের মতে,
যা কিছু করা হচ্ছে, তা প্রয়োজন ভিত্তিক। প্রবীণদের কাছে পুর পরিষেবা পৌঁছে দিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, অনেক প্রবীণই বাড়ির জঞ্জাল ফেলতে নীচে নামতে পারেন না। আর্থিক দুরবস্থার কারণে পুর অফিসে গিয়ে সম্পত্তিকর দিতেও সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। কর জমা দেওয়া, হাসপাতালে লাইন দিতে গিয়ে ভোগান্তি, এমন নানা কাজে দিশাহারা হন তাঁরা। এই সব সমস্যার সমাধানে তাঁদের জন্য কিছু করা জরুরি, এমনই মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, যে ১৫ দফা সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে তা হল, সম্পত্তিকরে ১০ শতাংশ ছাড়, কোনও প্রবীণ ব্যক্তির নামে বাড়ি করা হলে তার অনুমোদন বাবদ খরচে ১০ শতাংশ ছাড়। তাঁদের নামে ব্যবসা করা হলে সে ক্ষেত্রেও লাইসেন্স ফি-তে ছাড় দেওয়া হবে। কোনও প্রবীণ পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি হল ভাড়া করলে সেখানেও ছাড় পাবেন তাঁরা। তাঁদের জন্য আলাদা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা থাকবে। ফোন করলে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে। কলকাতার পুরসভার জমিতে যে সব বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে তাঁদের জন্য পৃথক লাইন রাখার কথাও বলা হবে। ছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে ওই সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। শহরের আধুনিক মানের বৃদ্ধাশ্রম গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে পুরসভার।
এক পুর আধিকারিক জানান, প্রবীণেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে ভালবাসেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ কার্ডও দেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, শীঘ্র সেই একগুচ্ছ ঘোষণা হবে। শুধু
সময়ের অপেক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy