Advertisement
E-Paper

নিম্ন মানের আলো, কালো তালিকায় সংস্থা

সম্প্রতি পুরসভার কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে, অনেক জায়গায় এলইডি ঠিক মতো জ্বলছে না। এমনকি গার্ডেনরিচে উড়ালপুল উদ্বোধনের দিনে ব্রুকলিন মোড়ে বাতিস্তম্ভে থাকা এলইডি আলো দপদপ করতে দেখে বিরক্ত হন মেয়র।

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০০:১১
রামগড়ের বিদ্যাসাগর কলোনিতে জন্ডিস আক্রান্তের বাড়িতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

রামগড়ের বিদ্যাসাগর কলোনিতে জন্ডিস আক্রান্তের বাড়িতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সঠিক মানের এলইডি বাতি সরবরাহ না করার অভিযোগে সরবরাহকারী এক সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলকাতা পুর প্রশাসন।

পুরসভা সূত্রের খবর, পরিবেশের কথা ভেবে দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা শহরের রাস্তায় থাকা সোডিয়াম ভেপার, মেটাল হ্যালাইড বাতি সরিয়ে এলইডি আলো দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। সেই মতো শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে বাতিস্তম্ভে ২০০, ১৫০, ১২০ এবং ১০০ ওয়াটের এলইডি লাগানো হয়েছে। সম্প্রতি পুরসভার কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে, অনেক জায়গায় এলইডি ঠিক মতো জ্বলছে না। এমনকি গার্ডেনরিচে উড়ালপুল উদ্বোধনের দিনে ব্রুকলিন মোড়ে বাতিস্তম্ভে থাকা এলইডি আলো দপদপ করতে দেখে বিরক্ত হন মেয়র। একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন, একাধিক মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর।

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল স্টোর্স দফতরই যাবতীয় জিনিস কিনে থাকে। মূলত দরপত্র ডেকে সব থেকে কম দাম দেওয়া সংস্থাকে পুরসভা যে কোনও জিনিস কেনার বরাত দেয়। রাস্তার বাতিস্তম্ভের আলোও কেনে এই সেন্ট্রাল স্টোর্স। বর্তমানে ওই দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ তারক সিংহ। বুধবার তিনি জানান, ছ’হাজারেরও বেশি এলইডি বাতি কেনা হয়েছে ওই সরবরাহকারীর কাছ থেকে। আলো দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, অভিযুক্ত সংস্থাটির থেকে ২০০, ১৫০, ১২০ ওয়াটের এলইডি আলো কেনা হয়েছে।

কেমন দাম এই এলইডি বাতির? ইঞ্জিনিয়ার জানান, ২০০ ওয়াটের প্রায় ছ’হাজার আর ১৫০ ওয়াট সাড়ে ৪ হাজার টাকার কিছু বেশি। তিনি বলেন, ‘‘দরপত্রের শর্ত ছিল আলো লাগানোর পরে পাঁচ বছর ঠিকঠাক চলতে হবে। কিন্তু বেশ কয়েকটি রাস্তায় দেখা গিয়েছে বাতি গোলমাল করছে।’’

এলইডি বাতি সারানো নিয়ে মেয়রের নির্দেশ আসতেই নড়ে বসেছিল আলো এবং সেন্ট্রাল স্টোর্স দফতর। তারকবাবু জানান, ওই বাতির কোথায় গলদ এবং নির্দিষ্ট মান বজায় রয়েছে কি না, সে সব যাচাই করতে সল্টলেকের ন্যাশনাল টেস্ট হাউসে পাঠানো হয়। তাতেই একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে বলে জানান তিনি।

এর পরেই পুরসভা ওই সংস্থাকে জানায়, বেশ কিছু বাতি তারা বদল করে দিয়েছে। কিন্তু এমনটা চলতে থাকলে সমস্যা বাড়বে জানিয়ে দফতরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারকবাবু। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, ওই সংস্থাকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হবে। সেন্ট্রাল স্টোর্স সেই নোট লিখে পাঠিয়ে দিয়েছে আলো দফতরে। খুব শীঘ্রই তাতে পুর কমিশনার এবং মেয়রের শিলমোহর পড়বে বলে তারকবাবু জানান। তিনি আরও জানান, দরপত্র ডেকে নতুন সংস্থার খোঁজ করা হবে।

KMC LED Bulb Black List Kolkata Municipal Corporation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy