সম্প্রতি হকার নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ পর্যালোচনা করতে শীঘ্রই বৈঠকে বসবে কলকাতা পুরসভা। বাধাহীন ফুটপাথ ব্যবহারের অধিকার সংবিধানে বর্ণিত মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পথচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। দু’মাসের মধ্যে ওই গাইডলাইন স্থির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞাঁর বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত বছর লোকসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের এক বৈঠকে রাস্তায় যেখানে সেখানে হকার বসা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কলকাতা পুরসভা-সহ হকার সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে এক উচ্চপর্যয়ের বৈঠক করেছিলেন তিনি। তারপরেই সুষ্ঠু হকারনীতি তৈরি করতে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তার ভিত্তিতেই ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুরসভার লক্ষ্য, অভিযানে নেমে রাস্তা থেকে হকার সরিয়ে তাদের ফুটপাতে তুলে দেওয়া। সমীক্ষার ভিত্তিতে ৮৭২৭ জনকে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। আর তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ এসেছে।
কলকাতা পুরসভার তরফে মেয়র পারিষদ (উদ্যোন) দেবাশিস কুমার হকার সংক্রান্ত বিষয় দেখভালের দায়িত্বে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা আমরা জেনেছি। তবে সবার আগে আমরা সেই রায় পর্যালোচনা করে দেখতে চাই। তাই বিষয়টি বৈঠক করতে হবে। কারণ দেশের সর্বোচ্চ আদালত যখন নির্দেশ দিয়েছে, তখন তা মানতেই হবে।’’ হকার জয়েন্ট অ্যাকশান কমিটির অসিত সাহা বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যালোচনা করা হয়নি। আমরা সেই রায়কে মান্যতা দিতেই হবে। হকারেরা দেশের যে কোনও আইনকে সম্মান জানায়। আইন মেনেই যা করার করতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় আইন অনুসারে যে কোনও ফুটপাথের দুই তৃতীয়াংশ সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য রাখতে হবে। আর বাকি এক তৃতীয়াংশ রাখতে হবে হকারদের জন্য।