ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডর। — ফাইল চিত্র।
গত তিন বছরে তিন বার বিপত্তির মুখে পড়া ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেএমআরসিএল (কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড)। বছর তিনেক আগে প্রথম বিপর্যয়ে ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ি নির্মাণের শর্ত চূড়ান্ত করে শনিবার দরপত্র ডেকেছে মেট্রো। মেট্রো সূত্রের খবর, এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। আগামী ৩০ নভেম্বর দরপত্র খোলার পরে ঠিকাদার সংস্থা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রায় ৭৫ হাজার বর্গফুট এলাকায় নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দরপত্রে বলা রয়েছে, নির্মাণকাজ শেষ হলে পরের তিন বছর পর্যন্ত বাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভারও থাকবে মেট্রোর উপরেই।
মেট্রো সূত্রের খবর, দু’বছর ধরে পুরসভা থেকে বাড়িগুলির নকশা এনে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য বাড়ি ও জমির মালিকদের লিখিত সম্মতি নিতে হয়েছে। বাড়িগুলিতে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, নিকাশি সংযোগ ও রাস্তা তৈরির ভারও মেট্রোর। তবে, বৌবাজারে ওই বাড়িগুলির পুনর্নির্মাণ কতটা পুরসভার আধুনিক বিধি মেনে সম্ভব, সেই সংশয় থাকছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা জমির মালিকানা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় পুরনো বাড়ির নকশা হুবহু রেখেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাড়িগুলির পুনর্নির্মাণ করা হবে। বাসিন্দাদের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতে পুর নির্মাণ-বিধিতেও ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ওই নির্মাণকাজ শুরু করা হতে পারে। মাটির স্থায়িত্ব ছাড়াও অন্যান্য আবশ্যিক শর্ত খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞেরা রিপোর্ট দিলে তার পরেই নির্মাণ শুরু হবে। কেএমআরসিএলের এক কর্তা বলেন, ‘‘মেট্রোর কাজের জন্য বাসিন্দাদের একাংশ দীর্ঘ দিন ঘরছাড়া। তাঁদের ঘরে ফেরাতেই বাড়ি নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy