কিছু দিন আগেই বিল্ডিং দফতরকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ।
বেআইনি নির্মাণ ভাঙা, তাকে আইনসিদ্ধ করা অথবা নির্মাণে পরিবর্তন সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্পেশাল অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে। যাতে কেন কোনও নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে, বা কেন কতটুকু অংশ ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি না থাকে। কিছু দিন আগেই বিল্ডিং দফতরকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। এ বার কোনও বেআইনি নির্মাণকে আইনসিদ্ধ করা বা ভাঙার আগে অনুমতি পেতে কোন তথ্য সংবলিত নথি আকারে (ফর্ম্যাট) তা প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে পেশ করতে হবে, সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দফতরকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিল পুরসভা। অবশ্য কোনও নির্মাণ কতটা ভাঙা হবে— পুরোটা না আংশিক, তা নির্ভর করছে শুনানির উপরে। শুনানির ভিত্তিতে যা সিদ্ধান্ত হবে, সেটাই ওই নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে বৈঠকে পেশ করতে হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওই নথিতে পুরসভার ৪০০(১) ও ৪১৬ ধারা অনুযায়ী কোনও নির্মাণের বেআইনি অংশ আইনসিদ্ধ করা বা ভাঙার আগে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দাখিলের কথা বলা হয়েছে। সেখানে কোন বরো, কোন ওয়ার্ড, কোন ‘প্রিমিসেস’ নম্বর উল্লেখের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সম্পর্কে সংক্ষেপে জানাতে বলা হয়েছে। তার পরে ওই নির্মাণের সময়ে পুর বিল্ডিং আইনের কোন কোন ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে, তা-ও উল্লেখ করতে হবে। পরের ধাপে বিল্ডিংয়ের কতটা অংশ ব্যবহারের কারণে পরিবর্তন করা হয়েছে, তা স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।
অর্থাৎ মূল অনুমোদিত নকশায় কত বর্গ মিটার ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এবং তার পরিবর্তে বর্তমানে কত বর্গ মিটার ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ফলে কোনও বিল্ডিং নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না— তা-ও নথির নির্দিষ্ট কলামে লিখে দিতে হবে। তার সঙ্গে নির্মাণটি নিয়ে স্পেশাল অফিসারের লিখিত নির্দেশ সংযুক্ত করে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট নির্মাণের পুরোটা নাকি একাংশ ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে বাকিটা ভেঙে ফেলা হবে— তা সেখানে জানাতে হবে। বিল্ডিং দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এমন ভাবে নথিটি করা হয়েছে, যাতে তা এক নজরে দেখলেই পুরো বিষয়টা সম্পর্কে জানা যায়। এবং তা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy