অনুষা অধিকারী। এঁর শরীরেই প্রতিস্থাপিত হল হৃদযন্ত্র। —নিজস্ব চিত্র।
গত ছ’মাস ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন কলকাতার বাসিন্দা অনুষা অধিকারী। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। অবশেষে মুম্বইয়ের বাসিন্দা এক কিশোরের হৃদযন্ত্রে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলেন বছর সাতচল্লিশের ওই মহিলা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘ফর্টিস’ হাসপাতালে অনুষার শরীরে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকেরা। অনুষার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আপাতত তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গত রবিবার মুম্বইয়ে পথ দুর্ঘটনায় ‘ব্রেন ডেথ’ হয় বছর সতেরোর ওই কিশোরের। চিকিৎসকদের পরামর্শে অঙ্গদানে সম্মতি দেন তাঁর পরিবার। তার পরই গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়। মুম্বই গ্লোবাল হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই কিশোর। কলকাতার ফর্টিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গ্লোবাল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: পার্কসার্কাসে রেললাইনের ধারে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই একাধিক দোকান
ভাঙা উড়ালপুলের কী হবে, নির্ধারণে বৈঠক
মঙ্গলবার রাতে মুম্বই থেকে তাঁর হৃদপিণ্ড বিমানে উড়িয়ে আনা হয় কলকাতায়। রাত তখন সওয়া ১০টা। তিন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ওই কিশোরের হৃদপিণ্ড পৌঁছয় কলকাতা বিমানবন্দরে। বিধাননগর এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বিমানবন্দর থেকে বাইপাসের ফর্টিস হাসপাতাল পর্যন্ত গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রিম করতে সময় লাগে মাত্র ১৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। কার্ডিয়ো ভাস্কুলার সার্জন কে এম মান্ডানা এবং তাপস রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হয়।
অনুষা সাত মাস ধরে ডাইলেটেড কার্ডিয়ো-মায়োপ্যাথি রোগে ভুগছিলেন। ফলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন কমে যাচ্ছিল। এর পরেই ন্যাশনাল অর্গ্যান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্টেশন অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy