পাখির চোখে: উদ্বোধনের অপেক্ষায় সুসজ্জিত বিশ্ব বাংলা গেট। সোমবার, নিউ টাউনে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
সেজেগুজে প্রায় প্রস্তুত নিউ টাউনের নারকেলবাগানে নবনির্মিত ‘বিশ্ব বাংলা গেট’।
২৫ মিটার উঁচুতে সুসজ্জিত চেয়ার-টেবিল অতিথিদের অপেক্ষায়। বাজছে গান। দেওয়াল ভরে আছে নানা রকম গ্রাফিতিতে। ঝুলন্ত সেই দুনিয়ার অন্দরের আবহই যেন অতিথিদের কাছে পরম প্রাপ্তি। হিডকো সূত্রের খবর, কাল, বুধবার এটির উদ্বোধন হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত কয়েক বছর ধরে নারকেলবাগান মোড়ে এই ‘বিশ্ব বাংলা গেট’ তৈরি করেছে হিডকো। আড়াআড়ি ভাবে অবস্থিত চারটে ট্র্যাফিক আইল্যান্ডের উপরে ভর করে ৫৫ মিটার উঁচুতে মিশেছে ইস্পাতের তৈরি চারটে খিলান। সেই খিলানের মাঝে ৬০ মিটার ব্যাসের গোলাকার যাত্রাপথ এখন উদ্বোধনের প্রহর গুনছে। সোমবার দুপুরে সেই ‘বিশ্ব বাংলা গেট’ চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, ওয়েটিং লাউঞ্জে রঙের কাজ চলছে। টিকিট কাউন্টারে ইন্টারকম সংযোগ বসানোর কাজ করছে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা। তার পিছনে জেনারেটরের পরীক্ষাও হয়ে গেল এক ফাঁকে। কিছু ক্ষণ আগেই হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনের উপস্থিতিতে মাটির উপরে ‘বিশ্ব বাংলা গেট’ পরিক্রমা করেছেন এক মার্কিন সেনেটর।
মাটি থেকে ২৫ মিটার উঁচুতে পায়ের তলায় জমি রয়েছে ঠিকই। কিন্তু নীচেই শূন্য! সাড়ে তিন মিটার লম্বা ভিউয়িং গ্লাসে চোখ রাখলে সামনে দেখা যাবে দিগন্ত। উপরে ওঠার দু’টি লিফট রয়েছে। আছে আপৎকালীন সিঁড়িও। রিসেপশনের পাশেই দেওয়ালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান। পাশে কন্যাশ্রীর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে তাঁর পুরস্কার নেওয়ার ছবি। এর পরে একে একে বিদ্যাসাগর সেতু, গঙ্গাবক্ষে নৌকা ও ট্রামের প্রতিকৃতি। কোথাও রবীন্দ্রনাথ তো কোথাও বঙ্কিমচন্দ্র, স্বামী বিবেকানন্দ বা রাজা রামমোহন রায়ের উদ্ধৃতি। মনীষীদের পরেই বিনোদন জগতের নক্ষত্রেরা। সেই তালিকায় সত্যজিৎ রায়, কিশোর কুমার যেমন আছেন, তেমনই আছেন উত্তম-সুচিত্রা। আর সব শেষে দেওয়ালের গ্রাফিতিতে ইডেন গার্ডেন্স। হিডকো সূত্রের খবর, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ‘বিশ্ব বাংলা গেট’ ঘুরে দেখতে পারবেন দর্শকেরা। বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ের পরে সেটি পুরোপুরি রেস্তরাঁ হয়ে যাবে। থাকছে কাফেটেরিয়াও।
আরও পড়ুন: কাচের বোতলে চকলেট বোমা ফাটিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চোখ
হিডকো সূত্রের খবর, বিমানবন্দর থেকে শহরে ঢোকার মুখে একটি প্রবেশপথ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে স্থপতি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি হয়। নির্মাণের বরাত পায় পুণের একটি সংস্থা। হিডকো-র এক আধিকারিক জানান, অন্য যে সমস্ত শহরে এ ধরনের প্রবেশপথ রয়েছে, সবই গোলপোস্টের মতো দেখতে। কিন্তু ‘বিশ্ব বাংলা গেট’ দেখতে অন্য রকম। ব্যস্ত মোড়ে চারটে পায়ের উপরে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গোলাকৃতি ওই নির্মাণ। সেখান থেকে শহর দেখার অভিজ্ঞতাই এই গেটকে অন্যগুলির থেকে আলাদা করেছে। হিডকো সূত্রের খবর, শূন্য থেকে শহর দেখার শো-এর ব্যবস্থা থাকবে। দেখতে পারবেন একসঙ্গে ১০০ জন।
আরও পড়ুন: রাতপথে গাড়িতে পিষ্ট সিটিসি-র বাসচালক
টিকিট কত? হি়ডকো-র এক আধিকারিক জানান, টিকিটের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই থাকবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। অনলাইনেও মিলবে টিকিট। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাংলাকে বিশ্বের আঙিনায় তুলে ধরার প্রতীক হল ওই গেট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy