Advertisement
E-Paper

অগ্নিকাণ্ডে বন্ধ অ্যাক্রোপলিস মলে থাকা অফিসগুলি খুলতে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা ও দমকল দফতর

অগ্নিকাণ্ডের ফলে শপিং মলের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। পুরো শপিং মলকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। তবে মেরামতির কাজ এখনও শুরু হয়নি। মল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, দমকলের তরফ থেকে অনুমতি মিললে মেরামতির কাজ শুরু হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ১৯:৩২
Kolkata Municipal Corporation and Fire Department are in talks to open the offices at Acropolis Mall

অগ্নিকাণ্ডের পর কসবার অ্যাক্রোপলিস মল আবার কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে? —ফাইল চিত্র।

অগ্নিকাণ্ডের পর কসবার অ্যাক্রোপলিস মল আবার কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনেই। শনিবার কলকাতা পুরসভার সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম মলে থাকা অফিসগুলি খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে দমকল দফতরের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বন্ধ মলের একাংশে রয়েছে একাধিক অফিস। সেই অফিসগুলি খোলার জন্য এ বার দমকলের সঙ্গে আলোচনা হতে চলেছে। ১৪ জুন শুক্রবার দুপুরে কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন লাগে। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, মলের চারতলায় যেখান ‘ফুড কোর্ট’ রয়েছে, সেখানেই প্রথম আগুন দেখা যায়। তড়িঘড়ি সকলকে শপিং মলের ওই অংশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে শপিং মলের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। পুরো শপিং মলকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। তবে মেরামতির কাজ এখনও শুরু হয়নি। মল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, দমকলের তরফ থেকে অনুমতি মিললে মেরামতির কাজ শুরু হবে। তার পরই অ্যাক্রোপলিস মল খোলা যেতে পারে। দমকল সূত্রে খবর, মেরামতির পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই মল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সপ্তাহখানেক আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে মলটি। বন্ধ রয়েছে মলের উপরের অংশে থাকা একাধিক অফিসও। পুরসভা সূত্রে খবর, সেই অফিসগুলি খোলার জন্য আবেদন এসেছে মেয়র ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দফতরে। তাই বিচার বিবেচনা করেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে চান তাঁরা।

মেয়র বলেছেন, ‘‘আমি দমকল মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, রেস্তরাঁর অংশ বাদ রেখে বাকি দোকান, অফিস চত্ত্বর যাতে খুলে দেওয়া যায়। তবে সবার আগে সিইএসসি-কে বলে ওই অফিসগুলিতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের পরেই সেগুলি খোলা যাবে।’’ প্রসঙ্গত ওই শপিং মলের কোনও অংশে গাফিলতি ছিল কি না? কেন আগুন লাগল? ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা কতখানি সক্রিয় কতটা ছিল? ফায়ার এগজ়িট ঠিকঠাক ছিল কি না, এই সমস্ত বিষয় নিয়েই তদন্ত করছে দমকল। তাই এখন গোটা বহুতলটিই দমকলের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। এর জেরে শুধু মল নয়, মলের পিছনের অংশে থাকা একাধিক অফিসও বন্ধ। এ বার সেই অফিসগুলি খোলার জন্য উদ্যোগী হচ্ছেন কলকাতার মেয়র।

সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতায় কসবার এই মলে তিনতলায় থাকা একটি দোকানে আগুন লাগে। সেখান থেকে মুহূর্তে উপর তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। কাচ দিয়ে ঘেরা মলের দেওয়াল ভেঙে ধোঁয়া বের করেন দমকলকর্মীরা। ‘হাইড্রোলিক ল্যাডার’ এনে আগুন নেভানোর কাজ করেন। তবে আপৎকালীন সিঁড়ি ফাঁকা না থাকার অভিযোগ তোলেন ভিতরে আটকে পড়া মানুষজন। এর পর দমকল এই ঘটনার তদন্তে নামে। পুরসভার তরফে দমকলের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, রেস্তরাঁ বা বাণিজ্যিক ভবনে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে খুঁটিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে নেওয়া হয়। তাতে সময় লাগল লাগুক। অফিস খোলার কথা বলা হলেও মল সম্পূর্ণ ভাবে কবে খুলবে, তার নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কোনও পক্ষই।

Acropolis Mall KMC FirhadHakim Fire Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy