Advertisement
১১ মে ২০২৪
Online

ঘরে বসেই আবেদন, একাধিক অনলাইন পরিষেবা পুরসভার

নির্মাণ নকশার অনুমোদন থেকে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট, নিকাশি সংযোগ, জন্মের শংসাপত্র বা ট্রেড লাইসেন্স— সবের জন্যই এ বার অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২১ ০৫:৫৬
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নাগরিকদের জন্য একাধিক অনলাইন পরিষেবা চালু করল কলকাতা পুরসভা। নির্মাণ নকশার অনুমোদন থেকে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট, নিকাশি সংযোগ, জন্মের শংসাপত্র বা ট্রেড লাইসেন্স— সবের জন্যই এ বার অনলাইনে আবেদন করা যাবে। শনিবার এমনটাই জানালেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।

নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে যাওয়ায় প্রায় তিন মাস পরে চালু হল ‘টক টু কেএমসি’। এ দিন ফোনে নাগরিকদের কাছ থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন ফিরহাদ। পরে বলেন, ‘‘পুরসভা আগেই সম্পত্তিকর ও অন্যান্য ফি নেওয়ার ব্যবস্থা অনলাইনে চালু করেছে। এ বার কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্মাণ নকশার অনুমোদন বা কমপ্লিশন সার্টিফিকেট পেতেও অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আগে এই অনুমোদন পেতে এক বছর সময় লাগত। দালালদের খপ্পরেও পড়তেন অনেকে। এখন অনলাইনে আবেদনের ২৭ দিনের মধ্যেই অনুমোদন মিলবে।’’ নাগরিকদের উদ্দেশে ফিরহাদের বক্তব্য, ‘‘দালালের কাছে না গিয়ে অনলাইনে আবেদন করুন। আমাদের কাছে পরিষেবা পাওয়াটা আপনাদের অধিকার।’’

ফিরহাদ জানান, ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার গোটা প্রক্রিয়াটাই অনলাইনে হবে। জন্মের শংসাপত্রের আবেদন অনলাইনে করা গেলেও শংসাপত্রটি নিতে পুরসভায় এক বার যেতে হবে। এ ছাড়া, বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ পেতে বা জলের ট্যাঙ্ক বসানোর জন্য শীঘ্রই অনলাইনে আবেদন জানানো যাবে। ফিরহাদের কথায়, ‘‘এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে এক দিকে করোনাকালে মানুষ ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। অন্য দিকে, দালালের কবলেও পড়তে হবে না।’’

করোনায় আক্রান্তদের জন্য আরও বেশি করে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে পুরসভা। ফিরহাদের কথায়, ‘‘আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে জ্বর বা করোনার অন্য কোনও লক্ষণ থাকলেই অবিলম্বে পুরসভাকে জানান। পুরসভার আধিকারিক, চিকিৎসক অমিতাভ চক্রবর্তীকে (৯৮৩১০৩৬৫৭২) ফোন করুন। পুরসভার গাড়ি সংশ্লিষ্ট আবাসনে গিয়ে র‌্যাপিড পরীক্ষা করে আসবে। কোভিড রোগীদের চিহ্নিত করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে তা হলে।’’

ফিরহাদ জানান, কোভিডে মৃতদের দেহ কোনও মতেই ফেলে রাখা চলবে না। তাঁর পরামর্শ, ‘‘বাড়িতে কেউ মারা গেলে থানা এবং ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরকে অবিলম্বে জানান। কোভিডে মৃতদের দাহ করতে ভাটচালায় আরও একটি শ্মশান তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া, মুসলিমদের জন্য বাসন্তী হাইওয়ের পাশে সরকারি জমিতে অস্থায়ী কবরস্থানও করা হচ্ছে। বাগমারির কবরস্থান ভরে গেলে বাসন্তী হাইওয়ের পাশে ওই জমিতে কোভিডে মৃতের দেহ কবরস্থ করা হবে।’’

ফিরহাদ জানান, শহরে আরও সেফ হোম তৈরির চেষ্টা হচ্ছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইসলামিয়া হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হবে। ১০০ শয্যার ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা মিলবে।

প্রতিষেধক নিয়ে এ দিন কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ফিরহাদ। বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে মোদী সরকার। আমরা তিন কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম। কিন্তু কখনও এক লক্ষ, কখনও বা দু’লক্ষ আসছে। কোথায় হিংসা হচ্ছে, তার জন্য বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু করোনায় হাজার হাজার লোক যে মারা যাচ্ছেন, তার দায় কার?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Online Corona kolkata municipal corporation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE