সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমবার এবং বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। প্রতীকী ছবি।
পুরভোটের গণনার দিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি দাবি করল, তৃণমূল-সিপিএমের গোপন ‘বোঝাপড়াই’ পুরভোটে বিজেপি-র ভোট কমার অন্যতম কারণ। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, বামেদের রাজ্যের বিরোধী শক্তি হিসেবে তুলে আনতে চাইছে তৃণমূলই। বিরোধীদের মধ্যে ভোট ভাগ করে নিজেদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে তারা।
কলকাতা পুরভোটে বিজেপি-র প্রাপ্ত ভোট ৯ শতাংশের আশপাশে। প্রাপ্ত আসন ৩। ২০১৫ সালের পুরভোটের তুলনায় অনেকটাই কমেছে প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা। আগের পুরভোটে বিজেপি ৭ টি আসন পেয়েছিল। ভোট শতাংশ ছিল ১৫.৪২। অন্য দিকে, বামেরা ২টি আসন পেলেও এ বার প্রায় ১১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের নিরিখে উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘বামেরা বিধানসভা ভোটের সময় বলেছিলেন, ‘নো ভোট ফর বিজেপি’। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করেছিলেন। তার প্রতিদান হিসেবেই কয়েকটা আসন পাইয়ে দিয়েছে তৃণমূল। আমাদের কাছে খবর ছিল, যে সমস্ত বুথে ছাপ্পা হয়েছে, সেখানে তিনটে ভোট তৃণমূলে পড়লে দু’টো পড়েছে সিপিএমে।’’
সুকান্তর বক্তব্য, কে বিরোধী তা নিয়ে বাংলার জনগণের সামনে একটি বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা প্রথম থেকেই চালাচ্ছিল তৃণমূল। সেই চেষ্টাই এ বারও করেছে শাসক দল। তবে বিজেপি-র বক্তব্য, এই ফল জনমানসের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। তবে যে ভাবে ভোট হয়েছে তাতে, এই ফলই হওয়ার ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy