E-Paper

গঙ্গার ধারের বাতিল প্রতিমায় নজর নেই পুর প্রশাসনের

বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরপ্রতিনিধিদের বার বার জানালেও কেউ কর্ণপাত করেন না। ফলে মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে জায়গাগুলি, বাড়ছে দৃশ্যদূষণ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:০২
An image of Ganga

অস্বাস্থ্যকর: গঙ্গার পাশেই আবর্জনার স্তূপ। কাশী মিত্র ঘাটে।  ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।

বটগাছের নীচে রেখে দেওয়া খান দশেক প্রতিমা। অনবরত বৃষ্টির জল পড়ে অর্ধেকের বেশি প্রতিমা আর চেনার অবস্থায় নেই! কোনওটির মাটি গলে গিয়েছে, কোনওটির শুধু কাঠামোই আছে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই ভাবে পড়ে থেকে জল-জঞ্জালে ঘেরা জায়গায় তৈরি হয়েছে মশার আস্তানা। বেনিয়াটোলা ঘাট সংলগ্ন এমন দৃশ্য গঙ্গার তীর বরাবর ঘুরলে আরও দেখা যায়। ফলে কলকাতায় বাড়তে থাকা ডেঙ্গির প্রকোপে আতঙ্ক বাড়ছে গঙ্গার ধারের বাসিন্দাদের। প্রতি বছরের চেনা এই দৃশ্যে পরিবর্তন আনতে কলকাতা পুরসভার কেন অনীহা? দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর বিসর্জনে পুরসভার যে তৎপরতা থাকে, বছরভর জমা প্রতিমা সরাতে তা দেখা যায় না কেন?

বেনিয়াটোলা ঘাট, বেনিয়াটোলা লেডিস ঘাট, পেট্রল পাম্প ঘাট, কুমোরটুলি ঘাট, বিচালি ঘাট, বাগবাজার মায়ের ঘাট-সহ একাধিক ঘাটে ফেলে যাওয়া প্রতিমার এমন ভিড় চোখে পড়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরপ্রতিনিধিদের বার বার জানালেও কেউ কর্ণপাত করেন না। ফলে মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে জায়গাগুলি, বাড়ছে দৃশ্যদূষণ। তাই আশপাশের একাধিক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও দাবি তাঁদের। গঙ্গার তীরে প্রাতর্ভ্রমণকারী ভোলানাথ পাল বলেন, ‘‘বৃষ্টি হলেই প্রতিমার ভিতরে জল জমে যায়। এলাকায় মশার উপদ্রবের এটাও কারণ।’’ একই অভিযোগ বাগবাজারের বাসিন্দা সাম্য শূরের। সাম্য বলেন, ‘‘গঙ্গার পাড়ে এ ভাবে প্রতিমা পড়ে থাকাটা পরিবেশের পক্ষে যেমন ক্ষতিকর, তেমনই বিসদৃশ। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি তো সবই দেখেন। কিন্তু সরাতে উদ্যোগী হন না।’’

পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘আসলে পুলিশ বা পুরসভার যত তৎপরতা, তার সবটাই বড় আয়োজন ঘিরে। কিন্তু বাকি সময়ে প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাবই থেকে যায়। এ সবের ফলে দূষণ বেড়েই চলেছে।’’ কলকাতা পুরসভার যদিও দাবি, পড়ে থাকা প্রতিমা সরাতে সচেষ্ট হচ্ছে তারা। কোথায় এ ভাবে প্রতিমা ফেলে রাখা হয়েছে, সেই এলাকার ছবিও তুলে নিয়ে আসা হয়েছে বলে দাবি পুরসভার।

পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘বড় পুজোর সময়ে বা পুজোর আগে এগুলো সরানো হয়। জনগণ এ ভাবে ফেলে রেখে যান। প্রতিমা জমে আছে, এমন কয়েকটি ঘাট ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ঘাট ঘুরে দেখতে পুরকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সব সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

River Ganges Clay Idols Kolkata municipality Dengue Fear garbage Kolkata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy