মৃত পশুর মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে বজবজ পুরসভার কর্মী রাজা মল্লিক এবং ট্যাক্সিচালক। —নিজস্ব চিত্র।
ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁয় সরবরাহ করার অভিযোগ উঠল এক পুরকর্মীর বিরুদ্ধে। বজবজের সুভাষ উদ্যানের পাশের একটি ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে বজবজ পুরসভার কর্মী রাজা মল্লিক এবং ট্যাক্সিচালক মিলসেল শ্যামলাল। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁদের নজরে এসেছিল, ওই ভাগাড়ে কোনও পশুর দেহ ফেললে রাতারাতি তা পাচার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রথমে তাঁরা নির্দিষ্ট ভাবে কিছু ধরতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা দেখেন, একটি ট্যাক্সি ভাগাড়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সেখান থেকে চালক-সহ দু’জন নেমে ওই ভাগাড়ে ঢুকে যায়। দেখা যায়, তারা একটি মৃত পশুর দেহ থেকে মাংস কেটে নিচ্ছে। তাদের তাড়া করলে ট্যাক্সির চালক চম্পট দেয়। ধরা পড়ে ওই পুরকর্মী। পরে সেই ট্যাক্সিচালককেও পাকড়াও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, জেরার মুখে রাজা স্বীকার করে, ভাগাড়ে ফেলে যাওয়া মৃত পশুদের মাংস বজবজেরই একটি বাড়িতে বরফ দিয়ে প্যাকেটজাত করা হয়। সেখান থেকে ওই মাংস যায় কলকাতার কবরডাঙায়। সেখানে এক ব্যাক্তি ওই মাংস সরবরাহ করে কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁয়।
বজবজে জনতার রোষ। দেখুন ভিডিয়ো
স্থানীয়েরা ওই ট্যাক্সিটি ভাঙচুর করে। উদ্ধার হয় বস্তায় বাঁধা কাটা মাংস। রাজাকে স্থানীয়রাই পুলিশের হাতে তুলে দেন। রাজাকে জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সানি ও নিমাই নামে আরও দুই ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
অন্ধকার চক্ররেলে আতঙ্কের ছ’ঘণ্টা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy