তারাতলার দুর্ঘটনায় শনিবার এক ছাত্রীর মৃত্যু প্রশ্ন তুলেছিল এলাকার পথ-নিরাপত্তা নিয়ে। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এ বার সংলগ্ন এলাকায় গার্ডরেল বসানো হল পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। পথচারীরা যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন, সে কারণে ওই গার্ডরেল বসানো হয়েছে। অবশ্য শুধু পথচারীরাই নন, ভ্যান বা সাইকেল আরোহীদেরও ওই গার্ডরেলের ভিতর দিয়েই যাতায়াত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। যদিও স্থায়ী সমাধান হিসেবে ফুটপাত কবে তৈরি হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই দিন সাতসকালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ছাত্রী সুহানি গুপ্তর। ঘটনার পরে ঘণ্টা দু’য়েক অবরুদ্ধ থেকেছিল তারাতলা রোড। একটি সরকারি বাসে ভাঙচুরও করেন ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। দুর্ঘটনার এক দিন পরেও ঘাতক ক্রেনের চালকের খোঁজ পায়নি পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় গাড়ির সংখ্যা প্রচুর হওয়া সত্ত্বেও পুলিশি নজরদারি যথোপযুক্ত নয়। হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। এমনকী, ওই এলাকায় ফুটপাত পর্যন্ত নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। তার ফলে বাধ্য হয়েই রাস্তার ধার ঘেঁষে হাঁটতে হয় তাঁদের।
দুর্ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি গার্ডরেল বসানো হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তার দু’ধারে। স্থানীয় কাউন্সিলর আনোয়ার খান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা ঠেকাতে রাস্তার পাশে পুলিশের তরফে গার্ডরেল বসানো হয়েছে। পথচারী, সাইকেল সবই ওই গার্ডরেলের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করবে। এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তাই ওই ব্যবস্থা। আগে হাইড রোডেও ফুটপাত ছিল না। কিন্তু সেখানে ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে। এখানেও ফুটপাত তৈরি করব।’’
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর আগেও ওই এলাকায় একাধিক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর পর চার-পাঁচ দিনের জন্য ট্র্যাফিক পুলিশ দেওয়া হয়েছিল এক বার। কিন্তু আবার যে কে সেই! প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনায় মৃত সুহানি আলিপুর টাঁকশাল বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্কুলের মহিলা শাখার প্রধান শিক্ষিকা বন্দনা মিশ্র বলেন, ‘‘গার্ডরেল বা রাস্তার দু’পাশে দড়ি দিয়ে তো দুর্ঘটনা আটকানো যাবে না। এই ব্যবস্থা স্থায়ী কোনও সমাধানও নয়। এলাকায় স্পিড ব্রেকার, জেব্রা ক্রসিং করার জন্য লালবাজারে আবেদন করব। কারণ, ওই এলাকা দিয়ে বহু ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে।’’