Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কুপিয়ে খুন চায়না টাউনে

বাবুর ছেলে অ্যান্টনিজ্যোতি বলেন, ‘‘বিকেলে এক পরিচিত তৃণমূল নেতা এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর নাম করে বাবাকে ডেকে নিয়ে যায় পাশের বাড়ির বড়কা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৮ ০৩:২১
Share: Save:

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা। প্রথমে কিয়স্কের সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভয় দেখিয়ে মোবাইল কেড়ে নিল তিন দুষ্কৃতী। পরের মুহূর্তেই খুন। কিয়স্কের সামনেই চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হল ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ীকে। নিহত বাবু সরকারের (৫০) সঙ্গী মৃণাল মুখোপাধ্যায় কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান।

ট্যাংরার চায়না টাউনে এই ঘটনার পর স্থানীয়দের প্রশ্ন, দুষ্কৃতীদের এত সাহস হয় কী করে যে তারা পুলিশ কিয়স্কের সামনেই এক জনকে খুন করে। পুলিশ জানায়, নিহত বাবু ট্যাংরার সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃণাল এবং তিনি একসঙ্গে ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করতেন। এই ঘটনার পিছনে সিন্ডিকেট ব্যবসার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

বাবুর ছেলে অ্যান্টনিজ্যোতি বলেন, ‘‘বিকেলে এক পরিচিত তৃণমূল নেতা এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর নাম করে বাবাকে ডেকে নিয়ে যায় পাশের বাড়ির বড়কা। গোবিন্দ খটিক রোডে ওই নেতার অফিসে বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ পুলিশের কাছেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। রাতে মৃণাল বলেন, ‘‘বাবু আর আমি একসঙ্গেই পার্টি অফিসে গিয়েছিলাম। তৃণমূলের ওই নেতার সঙ্গে চার-পাঁচ জন ছিল। কিছু কথার পর আচমকা আমাকে চপার দিয়ে মারে। আমি পালাই। দেখি, বাবুকেও তাড়া করেছে। পরে ওকে চপার দিয়ে কোপায়।’’ প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছাড়া হয়।

খুনের পিছনে ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভূমিকা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা স্বর্ণকমল সাহা। রাতে তিনি বলেন, ‘‘বাবু এবং বড়কা তৃণমূল সমর্থক বলে জানি। নিজেদের মধ্যে গোলমালে থেকেই এই খুন বলে মনে হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

China Town Stab Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE