Advertisement
E-Paper

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ হাসপাতালে

পরিবারের অভিযোগ, গত ১৮ মার্চ পিত্তথলি পাথর নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনিন্দিতাকে। চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করার পরে অবস্থার অবনতি হয়। জানা যায়, তার পিত্তনালী ফুটো হয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ০১:১৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পিত্তথলির পাথর সরানোর অস্ত্রোপচার করাতে এসে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। শুক্রবার, বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুর অঞ্চলের একটি হাসপাতালে। এই ঘটনায় ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। যদিও হাসপাতালের তরফে সরাসরি কিছু বলা হয়নি।

মৃতা কিশোরীর নাম অনিন্দিতা মণ্ডল (১৪)। বাড়ি সোনারপুরে। পরিবার সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী অনিন্দিতা।

পরিবারের অভিযোগ, গত ১৮ মার্চ পিত্তথলি পাথর নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনিন্দিতাকে। চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করার পরে অবস্থার অবনতি হয়। জানা যায়, তার পিত্তনালী ফুটো হয়ে গিয়েছে। এর পরে ফের অস্ত্রোপচার হয় তার।কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তলপেটে সংক্রমণ ঘটে। তাকে ভেন্টিলেটরেও রাখতে হয়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুই হয় তার।
শনিবার রাতে অনিন্দিতার বাবা রাজেশ মণ্ডল অভিযোগ করেন, চিকিৎসকদের গাফিলতি এবং ভুল চিকিৎসার জন্যই মৃত্যু হয়েছে তাঁর একমাত্র মেয়ের। পূর্ব যাদবপুর থানায় ডায়েরিও করেছেন তাঁরা। যদিও রাজেশের এক ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর দাবি, পুলিশ তাঁদের জানিয়েছিল, দেহের ময়না-তদন্ত না হলে তদন্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু অনিন্দিতার পরিবার ময়না-তদন্তে রাজি হয়নি।

এ দিকে হাসপাতালের বক্তব্য, রোগীকে যখন আনা হয়েছিল, তখন তার পিত্তথলি এবং পিত্তনালীতে পাথর ছিল। প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পরেও পাথর বার করা যায়নি।
পরে পেট কেটে অস্ত্রোপচার হয়। তখন দেখা যায়, তার তলপেটে ফুটো রয়েছে। তা সারাতেও একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। রোগীর উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফলে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি।

অনিন্দিতার পরিবারের দাবি, তাঁরা যাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ না দেখান, তার জন্য হাসপাতাল তাঁদের কোনও বিলও দেয়নি। যদিও হাসপাতাল এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

Death Medical Negligence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy