বাড়ির দরজায় লেখা, ‘কুকুর হইতে সাবধান’। বেল বাজাতেই কুকুরের চিৎকারে বছর আঠাশের ডেলিভারি বয় অমিতের বুক কেঁপে উঠেছিল। নীচে নেমে খাবার নিয়ে যেতে বাড়ির বাসিন্দাদের ফোনে অনুরোধ জানান তিনি। ফোনেই আশ্বাস আসে, কুকুর বাঁধা আছে। কিন্তু ওই যুবক তিনতলায় উঠতেই ঘটল অঘটন। অভিযোগ, দু’টি কুকুর ঝাঁপিয়ে পড়ে অমিতের উপরে। তিনি কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালালেও তাঁর ডান হাতের মাংস খুবলে নেয় দু’টি কুকুর। বুধবার দুপুরে যাদবপুরের ঘটনা।
এমন বিপত্তি এ শহরে প্রথম নয়। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে ঠাকুরপুকুরে একটি বাড়ির এসি সারাতে গিয়ে দু’টি পোষা কুকুরের আক্রমণের মুখে পড়েন গৌরব পুরকাইত নামে এক তরুণ। টাল সামলাতে না পেরে ছাদ থেকে পড়েমৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু ওই ঘটনার পরেও কুকুরের মালিকেরা পোষ্য সামলাতে যে সচেতন হননি, বুধবারের ঘটনা তারই প্রমাণ। এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অমিত দাস নামে ওই যুবক।
পুলিশ জানায়, ওই দিন যাদবপুরে বৈশাখী পাইনের বাড়িতে পিৎজা দিতে যান অমিত। তখনই কুকুরের হামলার মুখে পড়েন তিনি। অমিতের অভিযোগ, ‘‘কাতরাতে কাতরাতে কোনও রকমে নীচে নামি। ফুটপাতে বসে পড়ি। আশপাশের অনেকে ছুটে এলেও ওই বাড়ির কেউ আসেননি।’’ পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আতঙ্কিত অমিত বলেন, ‘‘ওরা যখন আমার হাত খুবলে নিচ্ছে, আঁচড়াচ্ছে, তখন আমি ‘বাঁচান বাঁচান’ বলে চিৎকার করতে থাকি।’’